বিনোদন ডেস্ক: ভারতের বিতর্কিত ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে ৫২ লাখ রুপির ঘোড়া ও ৩৬ লাখ রুপির বিড়াল উপহার নেওয়ার ঘটনায় তদন্ত সংস্থার মুখোমুখি হয়েছেন বলিউড নায়িকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। বুধবার ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) মুখোমুখি হন তিনি। খবর বলিউড হাঙ্গামা ও ফার্স্ট পোস্টের।
অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে সুকেশ চন্দ্রশেখরে বিরুদ্ধে। অর্থপাচারের আইনের ধারায় জ্যাকুলিনের বক্তব্য রেকর্ড করেছে ইডি। এর আগেও দুবার জ্যাকুলিনকে তদন্ত সংস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বলছে, অর্থপাচারে অভিযুক্ত বিতর্কিত ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে সুবিধাভোগী জ্যাকুলিন।
তার মুখপাত্র বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে জ্যাকুলিনকে ডাকা হয়েছিল। তিনি তদন্ত সংস্থার ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও তিনি তদন্তকাজে পরিপূর্ণ সহায়তা দেবেন।
সম্প্রতি সুকেশ চন্দ্রশেখর ও তার স্ত্রী লীনা মারিয়া পলের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি রুপি তছরুপের মামলায় ৭ হাজার পাতার এই চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
টাকাপাচারের এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে দিল্লির আদালতে। অভিযোগ রয়েছে— তিহার জেলে থাকাবস্থায়ই এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর কাছ ২০০ কোটি রুপি তছরুপ করেছেন সুকেশ।
চার্জশিটের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে— তিহার জেলে থাকাবস্থায়ই জ্যাকুলিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন সুকেশ। জ্যাকুলিনের পরিবারের জন্য টাকাও পাঠিয়েছেন।
চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে— সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের পাশাপাশি অভিনেত্রী নোরা ফাতেহিরও সম্পর্ক ছিল। এ দুই অভিনেত্রীকে এ বিষয়ে আদালতে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের যোগাযোগ গড়ে ওঠে। এর পর থেকেই সুকেশ জ্যাকুলিনকে উপহার পাঠানো শুরু করেন।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রতারক ব্যবসায়ীর সঙ্গে জ্যাকুলিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একাধিক ছবি ফাঁসও হয়েছে। যাতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ‘কিক’ নায়িকা।
অভিযুক্ত সুকেশের আইনজীবী অনন্ত মালিক আগেই দাবি করেছেন, জ্যাকুলিনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ছিল বিবাহিত ব্যবসায়ী সুকেশের। যদিও জ্যাকুলিনের মুখপাত্র পাল্টা বিবৃতি দিয়ে জানান, ‘তদন্তকারীদের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করছেন জ্যাকুলিন, উনি এ মামলার অভিযুক্ত নন। তাকে সাক্ষী দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে। জ্যাকুলিনের সঙ্গে অভিযুক্তের ব্যক্তিগত সম্পর্কের খবর ভুয়া ও ভিত্তিহীন’।
চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, চারবার চেন্নাইতে জ্যাকুলিনের সঙ্গে দেখা করেছেন সুকেশ। এমনকি অভিনেত্রীর জন্য প্রাইভেট জেটের বন্দোবস্তও করে দেন তিনি। এমনটিও জানা গেছে তিহার জেল থেকে জ্যাকুলিনকে ফোন করতেন সুকেশ, পাঠাতেন চকোলেট, ফুলের তোড়াও। কিন্তু সুকেশের আসল পরিচয় জানা ছিল না জ্যাকুলিনের। অন্যদিকে নোরা দাবি করেছেন, এক অনুষ্ঠানে পারফরম করার জন্য সুকেশের স্ত্রী তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এবং প্রতারক দম্পতির সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই তার।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel