জুমবাংলা ডেস্ক: সৌদি আরবে বসবাসরত ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেবার জন্য দেশটির সরকার চাপ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট না দিলে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তবে বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন সৌদি বাদশাহ খালিদ বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ উদার মানবিক দিক বিবেচনা করেই এসব রোহিঙ্গাকে সেখানে থাকার সুযোগ করে দেন। কিন্তু বর্তমান সৌদি সরকার এদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যুর জন্য চাপ দিচ্ছে।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যারা এদেশের নাগরিক নয়, তাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেয়া হবে না। সৌদি সরকারের মধ্য পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া না হলে সৌদিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিষয়টি সমাধানে ইতোমধ্যেই পররাষ্ট্র সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি সমাধানের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠাতে গত ছয় মাসে তিনটি নোট ভারবাল পাঠিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এসব নোট ভারবালে সৌদি কর্তৃপক্ষ দাবি করে, এই রোহিঙ্গারা ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে এসেছে। এতদিন তাদের আশ্রয় দিলেও এখন তাদের আর রাখতে চায় না সৌদি। যেহেতু তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে এ কারণে তাদের জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু করে তাদের বাংলাদেশে নিয়ে যেতে হবে।
সূত্র আরো জানায়, কিন্তু তারা যে বাংলাদেশ থেকে গেছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ সৌদি কখনোই হাজির করতে পারেনি। সর্বশেষ গত সপ্তাহে পাঠানো নোট ভারবালে সৌদি কর্তৃপক্ষ অনেকটা হুমকির ভাষায় জানায়, এই রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়া হলে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। ফেরত পাঠানো হবে বর্তমানে সৌদি আরবে কর্মরত প্রায় ২২ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক। এছাড়া মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হবে।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।