কখনও কখনও আমরা একটি প্রজাতির উপর আস্থা হারিয়ে ফেলি। আমরা কয়েক দশক বা শতাব্দী ধরে কোনো প্রাণীকে দেখিনি বলেই এর অর্থ এই নয় যে এটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। লাজারাস প্রজাতির উদাহরণ রয়েছে যেগুলি তাদের ছোট আকার বা দুর্গম বাসস্থানের কারণে আমাদের নজর এড়াতে সক্ষম হয়েছে। এখানে পাচঁটি প্রজাতির সাম্প্রতিক উদাহরণ উল্লেখ করা হলো।
কোয়েলাক্যান্থ দিয়ে শুরু করা যাক, একটি 6-ফুট লম্বা ও 200-পাউন্ড এর মাছ। এই মাছটি 75 মিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে মনে করা হয়েছিল। যাইহোক, 1938 সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলে একজন জেলে এই মাছকে শিকার করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল।
এটি 1952 সাল এর পর এটির সংরক্ষিত নমুনা পাওয়া গিয়েছিল, যা কোয়েলাক্যান্থের বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে। মাছটি বিরল এবং হুমকির মুখে রয়ে গেছে, তবে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ডুবুরিরা 2012 সালে এ মাছকে দেখেছিলেন।
1850 সালে শেষবার দেখা মেলে ব্ল্যাক ব্রাউড বাবলারের পাখির ও পরে এটির পুনঃআবিষ্কার ঘটেছিল। ইন্দোনেশিয়ান পাখি পর্যবেক্ষকরা এই ওয়াইন-লাল চোখের পাখিটিকে 2020 সালের অক্টোবরে দেখতে পেয়েছিলেন। যেহেতু এটি একটি সাম্প্রতিক পুনরাবিষ্কার, তাই এখনও এটি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি।
singing dog of New Guinea কুকুরটি হাইল্যান্ড ডগ নামেও পরিচিত। এটি 50 বছর ধরে বন্য অঞ্চলে বিলুপ্ত বলে বিশ্বাস করা হয়েছিল। যাইহোক, 2018 সালে, এই বন্য কুকুরের জেনেটিক নমুনা খেকে তাদের অস্তিত্ব সর্ম্পকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
1991 সালে ফিলিপাইনের মাউন্ট পিনাটুবোর অগ্ন্যুৎপাতের পর, অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। যার মধ্যে petite island mouse ছিল, যা আগে শুধুমাত্র 1950-এর দশকে দেখা গিয়েছিল। যাইহোক, ফিল্ড মিউজিয়ামের একটি দল অগ্নুৎপাতের পরে এই ইঁদুরের অস্তিত্ব পুনরায় আবিষ্কার করা হয়েছে।
অবশেষে, জাঞ্জিবার চিতাবাঘ, যাকে শিকারের কারণে বিলুপ্ত বলে মনে করা হয়েছিল, সাদা-কালো ফুটেজে ক্যামেরায় ধরা পড়ে। যদিও এখনও নিশ্চিত করা হয়নি, এই সম্ভাব্য পুনরাবিষ্কারটি অনুসন্ধানকারীদের জন্য আশার আলো জাগিয়েছে। পাশাপাশি ডিএনএর প্রমাণ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।