লাইফস্টাইল ডেস্ক : দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটু-আধটু অশান্তি হতেই পারে। তবে তা যদি নিত্যকার ঘটনায় পরিণত হয় তবেই শুরু হয় অশান্তির। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবার। সংসারের সুখ আসলে নির্ভর করে কে কতটুকু ছাড় দিতে পারে, কতটুকু সহ্য করতে পারে, কতটুকু যত্মবান হতে পারে তার ওপর ভিত্তি করে। চলুন জেনে নিই দাম্পত্য জীবন সুখী করতে কোন অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা প্রয়োজন-
১. পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ:
শ্রদ্ধাবোধ প্রত্যেক ভালো দাম্পত্য জীবনের একটি সু-অভ্যাস, সুখী দাম্পত্য জীবন এটার অংশ। তবে শুধু এই নয় যে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে, নিজের প্রতিও থাকতে হবে। গবেষণায় দেখানো হয়েছে, কিভাবে নিজের মান উচ্চতর রাখা যায়। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার আচরণ কেমন হবে এটি একটি বড় ব্যাপার। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হয় উচ্চাশা বৈবাহিক অসদারণের দিকে প্রভাবিত করে। তবে বর্তমানে বিজ্ঞানীরা এটাকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখছেন। তারা মনে করেন, উচ্চাশার ফল ভালো। অন্যদিকে নিম্ন আশা হতাশা তৈরি করে। এটা কোনো ধাপে ইতিবাচক আবেগ নয় যা দাম্পত্য জীবন বিপরীতভাবে প্রভাবিত করে।
২.একে অন্যকে সঙ্গ দেওয়া:
স্বামী-স্ত্রীর একে অপরকে সঙ্গ দেওয়ার উপকারিতা অনেক। সঙ্গ একজন আরেকজনের প্রতি মনোসংযোগ এবং নির্ভশীলতা বাড়ায়। কিন্তু মানসিক সমর্থনের অভাবে ধীরে ধীরে সঙ্গীর উপর চাপ বাড়তে থাকে। এর ফলে সম্পর্কে অবনতি হবে।
৩. খুশি থাকা-খুশি রাখা:
সঙ্গীর মেজাজকে ভালো রাখতে মজার কোনো কাজ করতে পারেন। এটা আপনার সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেবে। নিজের খুশি থাকার বিষয়গুলো বাহ্যিক কারণের সঙ্গে যুক্ত করা এবং সঙ্গীর উপর নির্ভর করা উচিত না।
৪.ভালো মুহূর্ত উপভোগ:
একে অন্যের প্রাপ্তি স্বীকারের জন্য ভোল মুহূর্তগুলো উদযাপন করুন। দীর্ঘ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ুন। এর ফলে হ্যাপি হরমোন নিঃসরণ হয়ে চাপ কমবে। এটা আগে শুনেছেন এবং পুনরায় করতে পারেন। সব কিছু এক সঙ্গেই করতে হবে এটা নয়। প্রকৃতপক্ষে অন্যের আগ্রহের প্রতি নজর রাখতে হবে যাতে আলাদাভাবে সে সময় ব্যয় করতে পারে।
৫.শুয়ে গল্প করা:
আপনি কি এই মুহূর্তে শুয়ে স্বপ্নের সাগরে ভাসছেন। তাহলে এটা বন্ধ করুন। আর সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরে কিছু সময় ব্যয় করুন। দুইজন বালিশে শুয়ে কিছুক্ষণ গল্প করুন, ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন। মন ফুরফুরে হয়ে যাবে।
৬.কৃতজ্ঞতা প্রকাশ:
সফল এবং সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি সঙ্গীকে সাদরে গ্রহণ করা। তাই যেকোনো ভালো কাজের জন্য একে অন্যকে ধন্যবাদ বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সমীক্ষায় দেখা গেছে,যারা সঙ্গীদের ধন্যবাদ জানান, তার কাজের প্রশংসা করেন তাদের দাম্পত্য জীবন অনেক সুস্থির-আনন্দময়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।