স্পোর্টস ডেস্ক : লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সে শিক্ষকতা করেছেন তিনি।পড়ানোই পেশা তার। তবে নেশা হল খেলাধুলা। আর তাই ৬৬ বছর টপকে তিনি এমন এক কৃতিত্ব অর্জন করেন, যা বিশ্বের আর কারও নেই। বিশ্ব ক্রিকেটে নজির তৈরি করেছেন তিন নাতি-নাতনির দাদি জিব্রাল্টারের স্যালি বার্টন। উইকেটরক্ষক স্যালি বার্টনের ৬৬ বছর ৩৩৪ দিন বয়সে এস্তোনিয়ার বিরুদ্ধে জিব্রাল্টারের দ্বিতীয় টি ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক ঘটে।
বার্টন বিবিসি স্পোর্টসকে বলেন, ‘আমার অভিধানে প্রবীণ বা প্রৌঢ় বলে কোনও শব্দ নেই। এটা ঠিক, কখনও ভাবিনি ৬০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাব। তবে আমার অভিষেক প্রমাণ করে দিল, থামার কোনও বয়স নেই।’
ছেলে অথবা মেয়েদের ক্রিকেটে এত বেশি বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি আর কেউ। এই নিরিখে স্যালি ভেঙে দেন পর্তুগালের আকবর সৈয়দের বিশ্বরেকর্ড। আকবর পর্তুগালের ছেলেদের দলের হয়ে ৬৬ বছর ১২ দিন বয়সে মাঠে নেমেছেন।
জিব্রাল্টারের বার্টন তার রেকর্ড ভেঙে দিলেন। তার এই কীর্তি ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল। বার্টন জিব্রাল্টারের পরবর্তী সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড়ের চেয়ে প্রায় তিরিশ বছরের বড় এবং দলের কিছু সদস্য এখনও কিশোর।
নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে উইকেটকিপিং করলেও ব্যাট করার সুযোগ হয়নি স্যালি বার্টনের। যদিও তার অভিষেক ম্যাচ দাপুটে জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখে জিব্রাল্টার। এস্তোনিয়াকে ১২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দেয় জিব্রাল্টার।টস জিতে জিব্রাল্টারকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় এস্তোনিয়া।
জিব্রাল্টার নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে। পালটা ব্যাট করতে নেমে এস্তোনিয়া ১২.৩ ওভারে মাত্র ৩০ রানে অল-আউট হয়ে যায়, যার মধ্যে ১৭ রান আসে অতিরিক্ত হিসেবে। এস্তোনিয়ার ১১ জন ব্যাটার মিলে সংগ্রহ করেন সাকুল্যে ১৩ রান। কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
শুধু ক্রিকেট দিয়ে মাপা যাবে না স্যালি বার্টনকে। ক্রিকেটে তিনি যেমন কিপার, ফুটবলেও তিনি একইরকম সাবলীল। আশ্চর্যজনক ভাবে ফুটবলের মতো গতিশীল খেলায় গোলকিপার হিসেবেই মাঠে নামেন তিনি। জিব্রাল্টার মেয়েদের ক্লাব জিব্রাল্টার ওয়েভ এফসিতে নিয়মিত খেলেন। সবমিলিয়ে স্যালি নিশ্চিতভাবে মেয়েদের কাছে বিরাট অনুপ্রেরণার নাম হয়ে উঠেছেন। সূত্র : বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।