জুমবাংলা ডেস্ক : লিবিয়ার তাকারকোরি শিলাশ্রয়ে খননকাজে প্রাপ্ত দুই নারীর মমি থেকে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ জিনগত তথ্য (জিনোম) উদ্ধার করেছেন। এ আবিষ্কার সাহারার ইতিহাস ও মানব জাতির প্রাচীন বসতির বিষয়ে নতুন ধারণা দিচ্ছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, আজকের ধূলিঝড়ময় সাহারা একসময় ছিল সবুজ সাভানা। গাছপালা, নদী-হ্রদে পরিপূর্ণ ছিল এই অঞ্চল। তখনকার মানুষ মাছ ধরতো, গবাদি পশু পালন করতো এবং ছোট ছোট পরিবারে বসবাস করতো।
সাবিনো দি লারনিয়া নামে এক প্রত্নতত্ত্ববিদ জানান, দুই নারীর দেহাবশেষ খুবই ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল—তাদের চামড়া, টিস্যু ও অস্থি হাড়ের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। এই আবিষ্কার সাহারার মতো উষ্ণ ও শুষ্ক অঞ্চলে জিন বিশ্লেষণের দৃষ্টিতে অনন্য। জিন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাহারার ওই জনগোষ্ঠী ছিল একটি দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকা মানব গোষ্ঠী, যাদের পূর্বপুরুষেরা হয়তো ৫০ হাজার বছর আগেই আফ্রিকা ছেড়েছিল।
গবেষণায় আরও বলা হয়, সাহারা সেই সময় বসবাসের উপযোগী হলেও এটি উত্তর ও উপ-সাহারান আফ্রিকার মধ্যে বড় ধরনের অভিবাসন পথ ছিল না। বরং, এখানকার লোকেরা সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে পশুপালনের কৌশল রপ্ত করেছিল। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে আত্মীয়ের সঙ্গে বিয়ে (inbreeding)-এর প্রমাণও পাওয়া যায়নি যা বোঝায় তারা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন নয় বরং ছিল কিছুটা সংযুক্ত। প্রত্নতাত্ত্বিক ও জিনবিজ্ঞানের এই যৌথ গবেষণা ভবিষ্যতে সাহারা অঞ্চল ও আফ্রিকার মানব ইতিহাস আরও গভীরভাবে জানতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।