৭১ প্রতিষ্ঠান থেকে মার্ক জাকারবার্গকে খোলা চিঠি যে কারণে

মার্ক জাকারবার্গ

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং থ্রেডস অ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় তথ্য যাচাইকরণের সঙ্গে জড়িত পেশাদার সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করে আসছে। তবে সম্প্রতি তৃতীয় পক্ষের (থার্ড পার্টি) ফ্যাক্টচেকিং ব্যবস্থা বন্ধ ও কনটেন্ট মডারেশন নীতি শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। মেটার নীতিগত এ পরিবর্তন ঘোষণার পরপরই ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, মেটার তথ্য যাচাই নীতির পরিবর্তন আনতে ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্কের (আইএফসিএন) আওতাধীন ৭১টি প্রতিষ্ঠান মার্ক জাকারবার্গকে খোলা চিঠি পাঠিয়েছে।

মার্ক জাকারবার্গ

চিঠিতে আইএফসিএনের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো মেটার তথ্য যাচাই নীতি পরিবর্তনের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, তথ্য যাচাই হলো প্রমাণভিত্তিক আলোচনা ও যৌথ বাস্তবতা বজায় রাখার মূল ভিত্তি। বিশ্বজুড়ে এর গুরুত্ব অপরিসীম। আর তাই, মেটার নতুন এ উদ্যোগ প্রতিদিন কোটি কোটি ব্যবহারকারীর সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার পথ সংকুচিত করবে। মেটার তহবিলের ওপর নির্ভরশীল ছোট তথ্য যাচাইকরণ সংস্থাগুলোও আর্থিক সংকটে পড়বে।

বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির ভিন্নতা থাকায় মেটা বর্তমানে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করছে। তবে মেটার নতুন ঘোষণার আওতায় পেশাদার ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর বদলে ক্রাউডসোর্সড মডারেশন ব্যবস্থা চালু করা হবে। ইলন মাস্কের এক্স (সাবেক টুইটার) এর ‘কমিউনিটি নোটস’ মডেলের অনুরূপ এ ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীরাই পোস্টের সত্যতা যাচাইয়ে মতামত দিতে পারবেন। মেটার দাবি, এই পদক্ষেপ তথ্য যাচাইয়ে স্বচ্ছতা ও ব্যবহারকারীদের অংশগ্রহণ বাড়াবে।

সমালোচকদের অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর সাধারণ ব্যবহারকারীদের দিয়ে তথ্য যাচাই করানোর এ উদ্যোগ পেশাদার তথ্য যাচাই করণকারীদের দক্ষতা ও নির্ভুলতার অভাব পূরণ করতে পারবে না। এর ফলে মিথ্যা তথ্য মোকাবিলায় গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। আর তাই পেশাদার তথ্য যাচাইকারী ও ব্যবহারকারীদের মতামতের সমন্বয়ে একটি যৌথ ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি।