আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হিমন্ত বিশ্বশর্মা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জিতিন প্রসদা। ভারতের কেন্দ্রে এনডিএ সরকার আসার পর যে নেতারা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাম।
তবে, এই নামগুলি হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এঁদের মতো আরও বহু নেতা গত সাত বছরে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। শুধু কংগ্রেস ছেড়ে নয়। অন্যান্য দল ছেড়েও বিজেপিতে যোগদানের সংখ্যাটা রীতিমতো চমকপ্রদ।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস অর্থাৎ ADR-এর করা এক সমীক্ষা বলছে ২০১৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ২৫৩ জন জনপ্রতিনিধি। সার্বিকভাবে গত সাতবছরে মোট দলবদল করেছেন ১,১৩৩ জন জনপ্রতিনিধি। এর ২২ শতাংশই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এই তালিকায় অনেক পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কংগ্রেস।
বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর অন্যান্য দল থেকে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন ১১৫ জন জনপ্রতিনিধি। তৃতীয় স্থানে বিএসপি। গত সাত বছরে বিএসপিতে যোগ দিয়েছেন মোট ৬৫ জন জনপ্রতিনিধি।
ADR-এর সমীক্ষা বলছে, ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কংগ্রেস। কারণ, গত সাতবছরে সবচেয়ে বেশি দল ছেড়েছেন কংগ্রেসের টিকিটে জিতে আসা জনপ্রতিনিধিরাই।
ADR রিপোর্ট বলছে, এই সাত বছরে ২২২ জন কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধি অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৭৭ জনই বিধায়ক বা সাংসদ। যা মোট দলত্যাগীর প্রায় ২০ শতাংশ। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে বহুজন সমাজ পার্টি। গত সাত বছরে বিএসপি ছেড়েছেন ১৫৩ জন বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি।
বস্তুত, বিরোধী শিবিরের জনপ্রতিনিধিদের ভাঙিয়ে সরকার গড়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে একেবারেই নতুন নয়। নিন্দুকেরা বলেন, বিরোধী বিধায়কদের ভাঙাতে অর্থবল এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগায় গেরুয়া শিবির। এডিআরের রিপোর্ট পরোক্ষভাবে সেই অভিযোগকেই স্বীকৃতি দিল বলে দাবি বিরোধী শিবিরের।-সংবাদ প্রতিদিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।