জুমবাংলা ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল থানার আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন অনুষ্ঠানের অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া পুলিশের অসদাচরণের অভিযোগ তুলে এর আগে এ অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। রবিবার (৭ মার্চ) বিকালে থানা চত্বর মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশের এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হোসেন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইয়াসিন আলী উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার হোসেন মুন্না। তবে অশ্লীল নৃত্য চলাকালে অতিথিদের কেউ অনুষ্ঠানস্থলে ছিলেন না।
জানা যায়, ৭ই মার্চ উপলক্ষে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন আর সেই সভায় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও সংবাদকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুপুর ২ টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা বিকাল গড়ালে বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা রাগে ক্ষোভে থানা থেকে বেড়িয়ে যান। মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ তাদের আমন্ত্রণ দিয়ে অপমান করা হয়েছে। এক কাপ চা পর্যন্ত তাদের দেওয়া হয়নি। তাই এ অনুষ্ঠান বর্জন করেন তারা।
আরও জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধারা চলে আসার পর থানা পুলিশ বঙ্গবন্ধুর ছবি যুক্ত ব্যানারে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন যে অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল অশ্লীল নাচ ও গান। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়। মুক্তিযোদ্ধা রতন কুমার ভক্তসহ আরও অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের দাওয়াত দিয়ে অসম্মান করেছে। তাই আমরা মুক্তিযোদ্ধারা থানা পুলিশের অনুষ্ঠান বর্জন করেছি।
অন্যদিকে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ দিয়ে তাদেরও পুলিশ অসম্মান করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় সাংবাদিকদের। রাণীশংকৈলে প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহাম্মদ সরকার জানান, পুলিশ আমাদের কিছু সংবাদকর্মীকে আমন্ত্রণ জানায়। পরে আমরা সেখানে গেলে তারা আমাদের সাথে অজ্ঞাত কারণেই অসদাচরণ করে। পরে পুলিশের এ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করি। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুপুর ২টায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠান শুরু করেন তারা। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে থানা চত্বরে বসে থাকে। আমাদের সামান্য সম্মানটুকুও তারা করেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাণীশংকৈল থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, আসলে সামান্য ভুল বোঝাবোঝির কারণে সাংবাদিকরা এমন করবে এটি আমি ভাবতে পারিনি। রাতে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন স্থানীয় কিছু ছেলে-মেয়ে নাচ-গান করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।