১৮ বছর পর আরও একবার ডাচ ক্লাব পিএসভি আইন্দোহফেনের সামনে আর্সেনাল। সবশেষ দুই দলের দেখা হয়েছিল ২০০৭ সালে। সেবারে পিএসভির কাছে ২-১ অ্যাগ্রিগেটে হেরে বিদায় নিতে হয় আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যদের। অনেকগুলো বছর পর আবার যখন পিএসভির সঙ্গে আর্সেনালের দেখা, তখন ম্যাচের চিত্রটা বদলাল পুরোপুরি।
পিএসভির আইন্দোহফেনের ঘরের মাঠে গুণে গুণে সাত গোল দিয়েছে আর্সেনাল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬তে এমন দুর্দান্ত ফলাফলের সুবাদে কোয়ারটার ফাইনালে বলতে গেলে এক পা দিয়েই রেখেছে গানার্সরা। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে নকআউট পর্বে প্রতিপক্ষের মাঠে ৭ গোলের ঘটনা এটিই প্রথম। শেষ পর্যন্ত ফিলিপস স্টেডিয়ন থেকে আর্সেনাল বাড়ি ফিরেছে ৭-১ গোলের জয় নিয়ে।
চোটের কারণে আর্সেনালের স্কোয়াডে ছিলেন না কায়ো সাকা, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলি। তাতে মোটেই আটকাতে হয়নি গানার্সদের। ম্যাচের ৩১ মিনিটের মাঝেই ৩-০ গোলের লিড তাদের। ১৮ মিনিটে জুরিয়েন টিম্বারের গোলে এগিয়ে যায় তারা। তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইথান নোয়ানেরি। দুজনেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এদিন পেয়েছেন প্রথম গোল।
৩১ মিনিটে ডিবক্সের ভেতর প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের ভুলে বল পেয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন মিকেল মেরিনো। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পিএসভিকে গোল এনে দেন নোয়া লাং।
আর্সেনাল পরের ৪৫ মিনিটে করে আরও চার গোল। ৪৭তম মিনিটে ওডেগার্ড ও পরের মিনিটে ট্রোসার্ডের গোলে বড় জয়ের পথে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ৭৩তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ওডেগার্ড। আর ৮৫তম মিনিটে পিএসভির কফিনে সপ্তম পেরেক ঠুকে দেন ক্যালাফিওরি। পিএসভি মাঠ ছাড়ে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউটের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোল হজমের তিক্ত রেকর্ড নিয়ে।
বড় ব্যবধানে জিতে পরের পর্বে এক পা দিয়ে রাখা আর্সেনাল শেষ আটে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ-অ্যাতলেটিকোকোর মধ্যে জয়ী দলের। বার্নাব্যুতে রদ্রিগো এবং ব্রাহিম দিয়াজের গোলের সুবাদে রিয়াল প্রথম লেগ জিতেছে ২-১ গোলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।