বিনোদন ডেস্ক : একটি হোটেল সংস্থার কাছ ৮০০ কোটি টাকার বিনিময়ে পাতৌদির রাজপ্রাসাদ উদ্ধার করেছেন সাইফ আলি খান! এমন কথাই শোনা গিয়েছিলো। কিন্তু সেই গুঞ্জন নাকচ করে দিলেন বলিউডের এই নবাব। জানিয়ে দিলেন, এই খবর বিশাল অত্যুক্তি। রাজমহলের যা দাম প্রকাশ্যে এসেছে, তা সঠিক নয়।
একটি সাক্ষাৎকারে সাইফ জানান, পতৌদির রাজপ্রাসাদ তার কাছে অমূল্য সম্পত্তি। তিনি যেহেতু ইতিমধ্যেই রাজপ্রাসাদটির মালিক তাই প্রাসাদের মালিকানা বদলের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এই মহলের আর্থিক মূল্য ধার্য করা অসম্ভব।
কারণ আবেগের দিক থেকে এই সম্পত্তি অমূল্য। আমার ঠাকুমা-ঠাকুরদা আর আমার বাবা সেখানে সমাধিস্থ। জায়গাটার সঙ্গে আমার আধ্যাত্মিক যোগ রয়েছে। পতৌদি প্যালেসে আমি শান্তি পাই, নিরাপদ বোধ করি।
সঙ্গে যোগ করেছেন, “ওই জমির বয়স কয়েকশো বছর। তবে ঠাকুমার জন্য রাজমহলটা আমার ঠাকুরদা তৈরি করেছিলেন প্রায় একশো বছর আগে। তারপর সময় বদলে যায়। তাই আমার বাবা রাজমহলটা লিজ করেছিলেন।”
সাইফ জানিয়েছেন, পিতা মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যুর পরে রাজমহল ফিরে পাওয়ার ইচ্ছা জাগে তার মনে। “তাই যখন সুযোগ এল, লিজের বকেয়া টাকা শোধ করে প্যালেসের মালিকানা নিয়ে নিলাম। ন্যায্য আর্থিক চুক্তিই হয়েছে। আর যেহেতু আমি বরাবরই রাজমহলের মালিক ছিলাম, নতুন করে সেটার হাতবদলের প্রশ্ন ছিল না।” জানান সাইফ।
প্রসঙ্গত, হরিয়ানার গুরুগ্রাম জেলায় অবস্থিত পতৌদির প্রাসাদটি। স্থানীয়দের কাছে ইব্রাহিম কোঠি বলেও পরিচিত। ১০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত প্রাসাদটিতে রয়েছে ১৫০টি কক্ষ। সাইফের ঠাকুরদা ইফতিখার আলি খান ছিলেন পতৌদির শেষ নবাব। এই প্রাসাদে শ্যুটিং হয়েছে জুলিয়া রবার্টসের বিখ্যাত হলিউড ছবি ‘ইট প্রে লাভ’, ‘মঙ্গল পাণ্ডে’, ‘বীর জারা’, ‘গান্ধী: মাই ফাদার’ এবং ‘মেরে ব্রাদার কি দুলহন’-এর মতো হলিউড-হলিউড ছবির।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।