জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইল জেলার বিড়ি শ্রমিকদের জীবনমানের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় জানা গেছে, এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ৮০ শতাংশের বেশি শ্রমিক স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এবং অর্থনৈতিক কারণে বিকল্প আয়ের উৎস চান।
রবিবার (১২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডরপ (DORP) আয়োজিত ‘টাঙ্গাইল জেলার বিড়ি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, জীবিকা ও জীবন মান’ শীর্ষক গবেষণার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এমন তথ্য উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুযায়ী দেশে ১৫ বছর ও তদূর্ধ বয়সী তামাক পণ্য ব্যবহারাকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭৮ লাখ। পরোক্ষ ধূমপায়ীর সংখ্যা ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ। ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার ২০.৬%। তামাক ব্যবহারের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসারসহ নানাবিধ রোগে মানুষ আক্রান্ত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য (২০১৮) অনুযায়ী দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
এর কারণ হিসেবে অনুন্নত জীবন মানের কথা বলেছেন ৫৩ শতাংশ শ্রমিক। এ ছাড়া কাজের অতিরিক্ত চাপে ১৬ শতাংশ, স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে ৬২ শতাংশ, কাজের অপ্রাপ্তি থেকে ৬৮ শতাংশ এবং কম মজুরিকে অসন্তোষের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ৯৫ শতাংশ বিড়ি শ্রমিক।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে, ৮২ শতাংশ শ্রমিক বিড়ি শিল্পে অসন্তুষ্ট এবং বিকল্প ও স্থিতিশীল কর্মসংস্থানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গবেষণায় অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ৮৫ শতাংশ শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগে আক্রান্ত। শতভাগ শ্রমিক জানিয়েছেন যে, তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তারা এই পেশায় যুক্ত করতে চান না এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।