জুমবাংলা ডেস্ক:নেত্রকোনা জেলায় হাওরাঞ্চলে বোরো ধান কাটা এখন শেষের পথে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৮০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
নেত্রকোনায় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত হবে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের এমন আশঙ্কার পর হাওর এলাকা জুড়ে মাইকিং করা হয়। এ সময় বলা হয়, বৃষ্টির পর পাহাড়ি ঢল নেমে হাওরের বোরো ধান তলিয়ে যেতে পারে। এতে কৃষকরা জোরেসোরে ধান কাটা শুরু করেন। তবে ২০ এপ্রিল রাতে সামান্য বৃষ্টি হলেও এরপর আর বৃষ্টিপাত হয়নি। জগন্নাথপুরের কৃষক জমির মিয়া এবং মেন্দিপুরের কৃষক সমীরণ সরকার বলেন, ‘যেভাবে রোদ ছিল, তাতে আর দুই-চার দিন পর ধান কাটলে ধান আরো পুষ্ট হতো। তবে এখন কাটলেও খারাপ হয়নি।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘জেলার ছয়টি হাওর উপজেলায় ৪০ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত কাটা হয়েছে ৩৩ হাজার হেক্টর। শতকরা হিসাবে যা ৮০ ভাগ। আর তিন চার দিনের মধ্যে বাকি ধান কাটা শেষ হবে আশা করছি।’ তিনি বলেন, হাওরে মোট ৭৩০টি হারভেস্টার মেশিন একনাগাড়ে ধান কাটা হয়েছে। এ ছাড়া ১৬ হাজার শ্রমিকও হাওরে ধান কাটছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ সপ্তাহে প্রবল বর্ষণ হতে পারে এমন খবর পাওয়ার পর পরই কৃষকদের হাওরের পাকা ধান কাটার কথা বলা হয়। কৃষকরা সেভাবেই কাজ করছেন। তবে প্রচণ্ড রোদ থাকায় এবার ধানও পেকেছে তাড়াতাড়ি। এতে করে আগাম বন্যা এলেও বোরো ধানের কোনো ক্ষতি হবার আশঙ্কা নাই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, আর চার-পাঁচ দিনের মধ্যে সব জমির ধান কাটা শেষ হবে। তিনি বলেন, হাওরের ২০৬টি ফসল রক্ষা বাঁধ ও যথাসময়ে সংস্কার করার কারণে বন্যা হলেও এখন আর বোরোর কোনো ক্ষতি হবে না।
এদিকে সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সিরাজগঞ্জে মাঠে মাঠে আগাম জাতের বোরো ধান কাটার উত্সব শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই উত্সব শুরু হয়। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার সাদাত জানান, জেলায় সারের সংকট না থাকা এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, জেলায় প্রায় দেড় লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।