হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) আট দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থী বলেন, আমরা হাবিপ্রবি, কৃষি অনুষদের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে ভর্তি হই এবং আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ৩রা মার্চ। লেভেল-১ সেমিস্টার-১ এর চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয় ২৯ আগষ্ট এবং শেষ হয় ১৭ অক্টোবর। দুঃখজনক হলেও সত্যি ১ বছর অতিক্রম হওয়ার পরেও আমরা আমাদের লেভেল-১ সেমিস্টার-১ এর ফলাফল পাইনি। বর্তমানে আমরা লেভেল-১ সেমিস্টার-২ তে অধ্যয়নরত। কোভিড-১৯ মহামারির আগেই আমাদের একাডেমিক কোর্স প্রায় সম্পন্ন হয়। এমনকি আমরা আমাদের এনরোলমেন্ট ফি জমা দিয়েছি। বারবার ডীন অফিস, কন্ট্রোলারের অফিস, সম্মানিত শিক্ষকদের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছি কিন্তু তারা আশ্বাস দিলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এমতাবস্থায় আমাদের সেসনজট কমাতে এবং একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখার জন্য আমাদের আট দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো:
এক. অনতিবিলম্বে লেভেল -১ সেমিস্টার-১ এর ফলাফল দিতে হবে
দুই. সিলেবাস শর্ট করে লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে (সম্ভব হলে অনলাইনে)।
তিন. যদি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি লেভেল-২ সেমিস্টার-১ এর ক্লাস শুরু করতে হবে
চার. সেশনজট কমানোর জন্য বাকি সেমিস্টার গুলো ৫ মাসে শেষ করতে হবে।
পাঁচ. প্রাক্টিক্যাল এর এক্সপেরিমেন্ট কমিয়ে প্রেজেন্টেশন অথবা এসাইনমেন্ট সিস্টেম শুরু করতে হবে।
ছয়. এই মহামারীর প্রেক্ষিতে প্রয়োজনে ইয়ারলি সিস্টেম চালু করতে হবে (বছরে একটি পরীক্ষা)।
সাত. সেমিস্টার শুরুর আগে একাডেমিক ক্যালেন্ডার দিতে হবে যেখানে মিড এবং ফাইনাল পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ থাকবে। এবং
আট. ফাইনাল পরীক্ষার পর তিন মাসের মধ্যে ফলাফল দিতে হবে, সেটা পরের সেমিস্টারের মিড পরীক্ষার আগেই “।
মানববন্ধনে কৃষি অনুষদের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবুল বাশার তাদের আট দফা দাবি তুলে ধরার পাশাপাশি বলেন, শিক্ষক সংকট দ্রুত সময়ের মাঝেই সামাধান করতে হবে। যাতে করোনা পরবর্তী সময়ে দ্রুত ক্লাস কার্যক্রম সমাপ্ত করে পরবর্তী সেমিস্টারে ওঠা যায়। পাশাপাশি ক্লাসরুম সংকট দ্রুত সমাধান করতে হবে। কারণ আমরা একই ক্লাসরুমে ১২৫ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করি যা সত্যিই দুঃখজনক। তার উপর ক্লাস রুমে নেই কোনও সাউন্ডসিস্টেম ।
এ সময় কৃষি অনুষদের শ্রেণি প্রতিনিধি (সিআর) বলেন, আমাদের লেভেল-১ সেমিস্টার-১ এর ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত না হওয়ায় আমরা আমাদের পরিবারের কাছে ছোট হয়ে গেছি। কারণ পরিবার সন্দেহ করছে আমরা পরীক্ষায় পাশ করতে পেরেছি কিনা, এ নিয়ে আমরা খুবই হতাশায় আছি।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. ফজলুল হক বলেন, সেশনজট নিরসনে ৫ মাসে সেমিস্টার শেষ করার ব্যাপারটা অতি যৌক্তিক, আমরা এ ব্যাপারে কাজ করবো। আর পরীক্ষা না নিয়ে পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস নেয়া সম্ভব নয়, তবে অনলাইনে এক্সাম নিয়ে শুরু করা যায় কিনা তা একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করা হবে।
আর পরীক্ষার ফলাফলের ব্যাপারটি এক্সাম কন্ট্রোলারের বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, একাডেমিক ক্যালেন্ডার সংশ্লিষ্ট ফ্যাকাল্টি থেকে সংগ্রহ করবে শিক্ষার্থীরা, এটি ফ্যাকাল্টির বিষয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।