জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের উলিপুরে চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে নানা নাটকীয়তার পর ৯ ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নের ফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা ২, স্বতন্ত্র ৫, জাতীয় পার্টি ২টিতে বিজয়ী হয়েছে। তবে নিবার্চনে নৌকার প্রার্থীর চেয়ে অন্য প্রার্থীরা বেশি ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, থেতরাই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান আতা ৪৪৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ওই ইউনিয়নে আব্দুল জলিল সরকার নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২১৬৩ ভোট।
ধামশ্রেনী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪১৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে সিরাজুল হক সরদার পেয়েছেন ৯৮০ ভোট।
ধরনীবাড়ী ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী এরশাদুল হক ঘোড়া প্রতীকে ৮০৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আব্দুল গফফার সরকার পেয়েছেন ৪৬৭৪ ভোট।
বজরা ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে ৯২৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাইয়ুম সরদার। ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে রেজাউল করিম আমিন পেয়েছেন ৮৯১৯ ভোট।
পান্ডুল ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম লাঙল প্রতীকে ৪৯৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে তহসীন আলী পেয়েছেন ৩১৪৬ ভোট।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে বাবলু মিয়া লাঙল প্রতীকে ২৫১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আকতার হোসেন পেয়েছেন ২১৮৬ ভোট।
হাতিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৮২১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন শায়খুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকে আবুল হোসেন পেয়েছেন ৭৭৮৬ ভোট।
দলদলিয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী লিয়াকত আলী সরকার ৪২১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুজ্জামান মুন্সী পেয়েছেন ৪১৬০ ভোট।
গুনাইগাছ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মোখলেছুর রহমান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৬৮২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে আব্দুর রউফ পেয়েছেন ৩৮১০ ভোট।
এ ছাড়া কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াসহ কয়েকজন প্রিজাইডিং অফিসারের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের তবকপুর সরদারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম ও উত্তর ভবনের দুটি কেন্দ্র, গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামাল খামার সিনিয়র মাদরাসা, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের দারুল আরকান মাদরাসা ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের নামাজের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার ভোর ৪টা পর্যন্ত নানা নাটকীয়তার পরও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি প্রিজাইডিং অফিসাররা।
এদিকে রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক, চাকিরপাশা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস ছালাম, ছিনাই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাদেকুল হক নুরু, নাজিমখান ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মালেক পাটোয়ারী নির্বাচিত হয়েছেন। ওই উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের আব্দুল কুদ্দুছ, উমর মজিদ ইউনিয়নে আহসানুল কবির আদিল। তবে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী তাইজুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন সমান ভোট পাওয়ায় ওই ইউনিয়নে পুনরায় ভোটগ্রহণ হবে বলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
উলিপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, ‘স্থগিত হওয়া কেন্দ্রগুলোর বিষয়ে আমরা কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা আছি। কমিশন যা সিদ্ধান্ত দেবে, পরবর্তীতে সে মোতাবেক কাজ করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।