ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: খুলনার সঙ্গে ৯ ঘণ্টা পর সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন লাইনচ্যুত ট্যাংকারগুলো উদ্ধার করলে আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সাফদালপুর স্টেশনে দুটি মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে ৫টি ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়।
সংশ্লিষ্ট কোটচাঁদপুর স্টেশনমাস্টার গোলাম মোস্তফা জানান, দর্শনা থেকে পাথরবোঝাই ও যশোর নোয়াপাড়া থেকে মালবাহী ডিজেল তেলবোঝাই ট্রেন দুটি সিগন্যাল অমান্য করে একই লাইনে ঢুকে পড়ে।
এ সময় বিকট শব্দে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৫টি ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয়।
বগি লাইন থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ ডিজেল তেল এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন লাইনচ্যুত ট্যাঙ্কাগুলো উদ্ধার করলে মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তিনি আরও জানান, চালকের অসতর্কতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কোটচাঁদপুর ফায়ার স্টেশনের অফিসার আবদুর রাজ্জাক জানান, দর্শনা থেকে খুলনাগামী পাথরবোঝাই (মালবাহি) ট্রেনটি স্টেশনে অপেক্ষায় ছিল। বিপরীত দিক থেকে আসা তেলবোঝাই মালবাহী ট্রেনটি ওই ট্রেনে আঘাত করে। এ সময় তেলবোঝাই ট্রেনের ৫টি ট্যাংকার লাইনচ্যুত হয় এবং তিনটি ফেটে তেল বের হতে থাকে।
খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে দমকল বাহিনীর সদস্যরা সেখানে আসেন। এর পর থেকে এলাকার সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ সময় ধূমপান ও আশপাশের বাড়ি ঘরে আগুন জ্বালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মাইকিং করা হয়। বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, রেললাইনের ধারের খানাগর্ত তেলে ভর্তি হয়ে গেছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারণ না করা হলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণ মানুষ ছড়িয়ে পড়া তেল লুটে নিচ্ছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
এদিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে কন্ট্রোলরুম থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলে কর্মকর্তারা অবস্থান করছেন এবং তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা আবদুস সোবহানকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।