জুমবাংলা ডেস্ক : প্রজনন মৌসুম শুরু হচ্ছে। মা ইলিশ ডিম ছাড়বে। এ জন্য আগামী ৯ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ২২ দিন ইলিশ বিচরণ করে, এমন নদ-নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। মা ইলিশ রক্ষার এ কার্যক্রমের ফলে জেলেরা বেকার হয়ে পড়ে। অন্যদিকে মোকামসহ বাজারে মিলবে না ইলিশ। এতে জেলে ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়লেও পরবর্তীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়বে- এমনটাই বলছেন মৎস্যবিজ্ঞানীসহ সংশ্লিষ্টরা।
এবারের ভরা মৌসুমে সাগর ও মোহনায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। এতে চাঁদপুরে ইলিশের পাইকারি মোকামগুলো বেশ জমজমাট হয়ে ওঠে। মূলত দক্ষিণের সাগর ও মোহনায় ধরা পড়া এবং চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশই এ মোকামে বিপণন হয়। তবে মা ইলিশ ডিম ছাড়বে। তাই আগামী ২২ দিন ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মাছ ধরা ও বিক্রি বন্ধ থাকবে। এতে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে মোকামিরা। অন্যদিকে, জেলেরাও বেকার হয়ে পড়বে এসময়। তাই সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।
এক জেলে বলেন, সরকার যদি এ সময়ে আমাদের জন্য কিছু করে তবে তা আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।
বিজ্ঞানী ও মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে সাগর থেকে ডিম ছাড়তে ছুটে আসবে ইলিশের ঝাঁক। এতে নদনদীতে ইলিশের প্রাপ্তি বেড়ে যাবে।
চাঁদপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী বলেন, এ সময়ে জেলেরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেজন্য তাদের ভিজিএফ কার্ডের অধীনে এনে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।
চাঁদপুরের মৎস্য গবেষণ ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিছুর রহমান বলেন, এ ২২ দিন পর ওই অঞ্চলে সাগরের মতোই প্রাচুর্যতা থেকে যাবে।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় মাছ শিকার করে এমন জেলের সংখ্যা ৬০ হাজার। আর জেলায় ছোটবড় মাছের আড়ত রয়েছে শতাধিক। জড়িত রয়েছেন ২ হাজার ব্যবসায়ী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।