আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মায়ের লাশের সঙ্গে দীর্ঘ ৯ মাস ঘরে কাটানোর ঘটনা প্রকাশ্যে এল গত শনিবার। এই ঘটনাকে ঘিরে ভারতের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার চুইম গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, লকডাউন চলাকালীন গত মার্চেই মহিলার বৃদ্ধা মা মারা যান। বিষয়টি কেউও টের পায়নি। মায়ের লাশ আগলে রেখে এক ঘরেই বাস করছিলেন ওই নারী।
এক প্রতিবেশী জানান, প্রায়ই নারীকে জানলা দিয়ে আবর্জনা ফেলতে দেখা যেত। আবর্জনা ফেলার জন্য বাড়ির ওই জানলাটাই শুধু খুলতেন তিনি। অন্য দরজা জানলা বন্ধ থাকত বলে দাবি ওই প্রতিবেশীর।
পুলিশ জানিয়েছে, কেন দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখা হত, তা নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যেও কৌতূহল জন্মেছিল। শনিবারই এক প্রতিবেশী বিষয়টি জানিয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বাড়িতে ঢুকতেই দেখতে পান বিছানার উপর পড়ে রয়েছে অস্থিচর্ম গলে যাওয়া এক বৃদ্ধার দেহ।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়িতে নারী তার মাকে নিয়েই থাকতেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করতেন না। তাছাড়া মহিলার মানসিক কিছু সমস্যা থাকায় প্রতিবেশীরাও তাকে এড়িয়ে চলতেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অসুস্থতার জন্যই হয়তো কাউকে মায়ের মৃত্যু সম্পর্কে জানাতে সাহস পাননি মহিলা। তাই মায়ের লাশ ঘরে রেখেই তার সঙ্গে বাস করছিলেন মহিলা।
প্রতিবেশীরা পুলিশকে আরো জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে ওই পরিবারের একটি কুকুর মারা গিয়েছিল। সেই মৃত কুকুরকেও দীর্ঘ দিন ধরে ঘরেই রেখে দিয়েছিলেন ওই নারী ও তার মা।
খার (পশ্চিম)-এর এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কীভাবে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হল এবং এই সংক্রান্ত বহু প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি মহিলা। আপাতত তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মায়ের মৃত্যুর খবর এত দিন ধরে কেন কাউকে জানাননি, জেরা করে তা জানার চেষ্টা করা হবে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। সূত্র : আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।