জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোর সদরের লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়ায় একটি চালকলের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এক কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৩১১ টাকা হওয়ার খবর দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ হওয়ার পর বুধবার বিকালে বিলটি সংশোধন করে ১৬ হাজার ৬২০ টাকা নির্ধারণ করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সদরের লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আমিরগঞ্জের আব্দুর রহিমের ছেলে মো. জালাল উদ্দিন এ আলোচিত চালকলের মালিক। চালকল হিসেবে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করলেও এখানে ধান চাল মাড়াইয়ের কোনো কাজ হয় না। দেশের বৃহত্তম প্রধান ঔষধি গ্রাম লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়ার ভেষজ চাষিদের উৎপাদিত ভেষজ পণ্য চূর্ণ (গুঁড়া) করার কাজে এই চালকলটি ব্যবহার করা হয়। গত এক বছরের হিসাবমতে গড়ে প্রতি মাসে তার চালকলে বিদ্যুৎ বিল আসে ১৫ হাজার টাকা।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি বেশ কিছুদিন নিজের প্রতিষ্ঠানে আসতে পারেননি। সোমবার চালকলে এসে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখে তার মাথা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। বিলে গত ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে এক কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৩১১ টাকা বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিল হাতে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সদর দপ্তর নাটোর শহরের ফুলবাগান এলাকায় ছুটে যান।
এ সময় বিলিং সহকারীদের কাছে অভিযোগ জানালে তারা সমস্যার কোনো সমাধান না করে উলটো তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
চালকলের মালিক মো. জালাল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাতে দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর বুধবার বিকালে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ থেকে কর্মকর্তারা নিজেরাই বিলটি সংশোধন করে ১৬ হাজার ৬২০ টাকা বিল নির্ধারণ করে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এসেছেন।
এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক আবু নাসের জানান, বিলটিতে বড় ধরনের মানবিক ভুলে হয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি জানার পর দ্রুত বিলটি সংশোধন করে বুধবার বিকালেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যিনি এমন ভুল করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও তিনি জানান। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।