আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্ত্রী প্রিয়ার খোঁজা না পেয়ে পুলিশের সাহায্য চেয়েছিলেন স্বামী শ্রীনিবাস রাও। শুরু হলো হেলিকপ্টারে করে খোঁজ। আর এতে খরচও হল প্রায় ১ কোটি। অবশেষে স্ত্রীর খোঁজ পেলেন প্রেমিকের সঙ্গে।
ঘটনাটি ভারতের অন্ধপ্রেদেশের। শ্রীনিবাস বিশাখাপত্তনমের সঞ্জীভানগর কলোনির বাসিন্দা। গত সোমবার সকালে ২১ বছরের ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালনের জন্য স্থানীয় এক মন্দিরে পুজো দিতে যান। তারপর দম্পতি বিশাখাপত্তনমের রামকৃষ্ণ বিচে সময় কাটাতে পৌঁছান। সেখানেই ঘটে এই অদ্ভুত ঘটনা।
একটি ফোন আসায় কিছুক্ষণের জন্য বিচে স্ত্রীকে একা রেখে উঠে যান শ্রীনিবাস। ফিরে এসে আর স্ত্রীকে খুঁজে পাননি তিনি। ঘড়িতে তখন সন্ধা ৭টা। সমুদ্র সৈকতে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান স্বামী শ্রীনিবাস। ভেবেছিলেন সমুদ্রের ঢেউয়ে স্ত্রীকে ভাসিয়ে নিয়েছে। তখনই পুলিশের কাছে ছুটে যান শ্রীনিবাস।
পরদিন সকালেই খোঁজ শুরু করে পুলিশ। এলাকার সমস্ত কোস্টগার্ডদের নিয়ে শুরু হয় সার্চ অপারেশন। প্রথমে খোঁজ শুরু হয় স্পিড বোটের মাধ্যমে। কিন্তু বেশ খানিকক্ষণ খোঁজার পরেও কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর পুলিশ দারস্থ হয় জলসেনার। কাজে লাগানো হয় নেভি হেলিকপ্টার। সারাদিন কেটে গেলেও রামকৃষ্ণ বিচ অঞ্চল থেকে কোনো ভাবেই প্রিয়ার খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর এ জন্য খরচও হয় প্রায় ১ কোটি টাকা।
ঘটনার দুই দিন পর বুধবার নেল্লোর জেলার কাছের একটি জায়গায় খোঁজ পাওয়া যায় ওই নারীর। জানা যায়, সেখানে তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে ছিলেন। নিজেই ফোন করে সেই কথা তার বাড়িতে জানান প্রিয়া। অর্থাৎ তার কিছুই হয়নি, নিজে থেকেই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছেন।
জানা যায়, অনেকদিন ধরেই প্রণয় ঘটিত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন প্রেমিক রবি ও প্রিয়া। তবে এমন ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত হয়েছে প্রশাসন ও নেভি কর্তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।