জুমবাংলা ডেস্ক : মিলার ও বড় ব্যবসায়ীরা সীমিত আকারে ধান কেনার প্রেক্ষিতে বিরামপুরের আড়তদাররা বুধবার (০১ জুন) কৃষকদের নিকট থেকে ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। একটিমাত্র আড়ত এক দিনের ব্যবধানে মন প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কম দামে সীমিত আকারে ধান কিনছে। এতে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকরা ধান বিক্রি করতে না পেরে ধান নিয়ে ফিরে যাচ্ছে।
অপরদিকে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঙ্গলবার বিরামপুর চাল আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করায় বুধবার (১ জুন) সকাল থেকেই সব ধরনের চাল প্রতি কেজিতে ৪-৫ টাকা কম দরে আড়তদারেরা বিক্রি করতে শুরু করেছে।
কাটলা এলাকার ধান বিক্রেতা সাদেক আলী জানান, এক দিন আগে ১ হাজার ৪শ টাকা মন দরে মিনিকেট ধান বিক্রি করেছেন। বুধবার সেই ধানের দাম কমে ১ হাজার ২৫০ টাকা হয়েছে। এভাবে প্রকার ভেদে প্রতি মণ ধান ১০০ থেকে ১৫০ টাকা হারে কমে গেছে। এ কারণে তিনি ধান নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
বিরামপুর ধানহাটির ধান আড়তদার মহিবুল ইসলাম জানান, ধানের জেলা দিনাজপুরের খাদ্য উদ্বৃত্ত বিরামপুর শহরে ধান কেনার জন্য ২১টি আড়ত রয়েছে। তারা উপজেলায় উৎপাদিত ধান কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকার মিলার ও বড় ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে থাকে।
কিন্তু ধান চালের অবৈধ মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের একাধিক টিম মাঠে নামার প্রেক্ষিতে মিলার ও বড় ব্যবসায়ীরা ধান কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণে বিরামপুর শহরের একমাত্র সুমি ট্রেডার্স সীমিত আকারে ধান কেনা ব্যতিরেকে অপর ২০টি আড়ত বুধবার থেকে ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে একদিনের ব্যবধানে প্রতি মণ ধান প্রকার ভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কম দরে বেচা-কেনা করা হয়েছে।
অপরদিকে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার মঙ্গলবার বিরামপুর চাল আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬টি আড়তের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নতুন বাজারের চাল আড়তদার কার্তিক কুণ্ডু জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পর বুধবার সকাল থেকেই বাজারে সব ধরনের চাল প্রতি কেজি ৪ থেকে ৫ টাকা কম দরে বিক্রি হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।