প্রতি কেজি শসার দাম ৪ টাকা, তবুও নেই ক্রেতার দেখা। সারি সারি শসার স্তূপ নিয়ে বসে আছেন কৃষকরা। শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার গোয়াতলা শসার বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
কৃষকের উৎপাদিত শসার দাম হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শত শত কৃষক। আবার পচনশীল পণ্য হওয়ার কারণে মজুদ করার সুযোগ না থাকায় পানিরদরে বিক্রি করতে হচ্ছে শসা।
তারাকান্দা উপজেলার গোহালকান্দি গ্রামের মোসলেম উদ্দিন শসা নিয়ে এসেছেন বিক্রি করতে। তিনি জানান, ২০ শতাংশ জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। এখন যে দাম, তাতে বাজারে শসা নিয়ে আসতে ভ্যান ভাড়াও উঠছে না। বকশীমুল গ্রামের চাষি শাতাবউদ্দিনসহ কয়েকজন জানালেন একই কথা। খুচরা বাজারে শসার চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কেনো পাইকারি বাজারে দাম পাচ্ছে না—সে বিষয়ে প্রশাসনে পক্ষ থেকে তদন্তের দাবি জানান তারা।
বাজারের কয়েকজন পাইকারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা থেকে আড়ৎদাররা গাড়ি পাঠাচ্ছেন না। আড়ৎদার মাল না কিনলে তাদের বিক্রি করার সুযোগ নেই। এছাড়াও বাজারে চাহিদার তুলনায় শসার যোগান বেশি বলে দাম কমে গেছে।
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ্য) শোয়েব আহমেদ জানান, জেলায় ১ হাজার ১৫৩ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ করা হয়েছে। এ বছর শসার ফলনও ভালো হয়েছে। রোজায় চাহিদা মাথায় রেখে অনেক কৃষক শসার আবাদ করেছেন। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম একেবারে কমে গেছে। আর এই সুযোগ নিচ্ছেন আড়ৎদার ও দালালরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।