জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের চলমান অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে ব্যাংকিং খাতের ঋণ আদায়ে ধীরগতি অব্যাহত আছে। নানা উদ্যেগের পরও এটা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছেনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা।
এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। যা ২০২২ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ২৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা বেশি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘অস্বাভাবিক হারে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক গতবছরের শেষ দিক থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ শুরু করেছে। এতে খেলাপি কিছুটা কমেছে। আমরা নতুন করে আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। এসব কার্যকর করা গেলে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি আরও অনেক কমে আসবে। এছাড়া ব্যাংকে সুশাসন ফেরাতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। আশাকরি ব্যাংক খাতে বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে।’
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, ‘খেলাপি ঋণ কমাতে তেমন সফলতা আসছে না। যেটুকু কম দেখানো হয়েছে তা আদায় হয়নি। পুনঃতফসিল বা অবলোপন কিংবা সুদ মওকুফের কারণে এসব ঋণ কমেছে।’
তিনি বলেন, ‘খেলাপি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও কঠোর হতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংকের শাখা বন্ধের নির্দেশ দিতে হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত ২০২৩ সালের জুন প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংক খাতের মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এটি মোট বিতরণকৃত ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। ২০২২ সালের জুন প্রান্তিকে দেশের ইতিহাসে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছিলো খেলাপি ঋণ।
খেলাপি ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সপ্তাহে এটিকে যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে একটি রোডম্যাপ নিয়েছে। ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।