লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে শসা। সবজিটির প্রায় ৯৫ শতাংশই পানি। পানি ছাড়াও শসায় রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন বি, কপার, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ম্যাঙ্গানিজ। নিয়মিত শসা খেলে দূরে থাকা যায় বিভিন্ন রোগ থেকে। জেনে নিন শসা খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
১. আমাদের দৈনন্দিন পানির চাহিদার এক চতুর্থাংশ সাধারণত খাবার থেকে আসে। শসা পানির একটি চমৎকার উৎস। শরীরের কোষগুলোর সঠিকভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পানির অভাবে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিতে পড়ে শরীর। নিয়মিত শসা খেলে পূরণ হবে পানির চাহিদা।
২. শসায় থাকা পানি কেবল আপনার কোষগুলোকে হাইড্রেটই করে না, এটি পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার চাহিদা কমে। এক কাপ শসায় মাত্র ১৬ ক্যালোরি থাকে। ফলে শসা নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
৩. মাত্র এক কাপ শসায় প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন কে এর ১৪ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশ পাওয়া যায়। এছাড়া কপার, ফসফরাস, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজগুলোর সাথে ভিটামিন বি এবং সি পাওয়া যায় সবজিটি থেকে। শসা খেলে তাই বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ হবে।
৪. শসা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বলে কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।
৫. শসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলস নামক পদার্থের কারণে কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। শসাতে ফ্ল্যাভোনয়েড, লিগনান এবং ট্রাইটারপেনসহ উপকারী নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মেলে। এগুলো আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৬. সুষম খাবারের সঙ্গে নিয়মিত খান শসা। কিছু গবেষণা দেখায গেছে, শসার বীজে থাকা পুষ্টি উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকেও দূরে থাকা যায়।
৭. শসায় থাকা ফাইবার ও পানি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে রাখে আমাদের।
৮. শসায় প্রচুর পরমাণে পানি ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ আছে যা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বা টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
৯. শসায় রয়েছে ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৫ এবং ভিটামিন বি৭। এসব ভিটামিন এনার্জি প্রদান করে শরীরকে।
১০ প্রতিদিন শসা খেলে চুল, ত্বক ও নখ ভালো থাকে।
তথ্য: ওয়েব এমডি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।