লাইফস্টাইল ডেস্ক : যেকোনো সফলতার জন্য প্রয়োজন সঠিক জীবনাচরণ। ছাত্রজীবন ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি। এ সময়ে যে বীজ বপন করা হয় সেটি পরে বিকশিত হয়। তাই এ সময় কিছু সুঅভ্যাস আয়ত্ত করা কর্তব্য। যা কর্মজীবনে সফল হতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এ অভ্যাসগুলো ছাত্রজীবনেও সফল হতে সাহায্য করে। এমন দশটি অভ্যাসের কথা জানিয়েছেন বিপুল জামান
গুছিয়ে কাজ করো
যে কোনো কাজ করার আগে অবশ্যই একটি পরিকল্পনা করো এবং কাজটি করার সময় তা অনুসরণ করো। এই গুছিয়ে কাজ করার প্রবণতা তোমাকে যে কোনো কাজে সফলতার পথে এগিয়ে রাখবে। পরিকল্পনা যদি শতভাগ অনুসরণ না করা যায় তবুও সমস্যা নেই। এই পরিকল্পনার সিংহভাগ অনুসরণ করতে পারলেও তুমি পৌছে যাবে সফলতার দ্বারপ্রান্তে।
একসঙ্গে একের অধিক কাজ নয়
গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরিক ও মানসিকভাবে একসঙ্গে একের অধিক কাজ করা সম্ভব নয়। একসঙ্গে একের অধিক কাজ করার চেষ্টা করলে কোনো কাজ ভালোভাবে তো হবেই না বরং দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে। তাই একই সময়ে একের অধিক কাজ নয়।
কাজ ছোট ছোট টুকরোতে ভাগ করে নাও : আনন্দের সঙ্গে পড়তে না পারলে সেটা হয়ে যায় বোঝা। আর এই বোঝা স্ময়ের সঙ্গে শুধু বাড়তেই থাকে। যে কোনো কঠিন কাজ সহজে করার একটি কার্যকর উপায় হলো, তাকে ছোট ছোট টুকরাতে বিভক্ত করে ফেলা। এতে কাজটি অপেক্ষাকৃত সহজ বলে মনে হয় আর শেষ করা সহজ হয়।
পর্যাপ্ত ঘুমাও
পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, অবশ্যই আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ও মন সুস্থ থাকবে না। আর শরীর ও মন সুস্থ না থাকলে নিজের কাজগুলোও করা যাবে না। মনে রেখ, জীবনের শেষ যুদ্ধে নেপোলিয়ন হেরে গিয়েছিলেন কিন্তু তার অপর্যাপ্ত ঘুমের কারনে সৃষ্টি হওয়া অসুস্থতায়।
একটি রুটিন তৈরি করো
স্কুলের পড়া ঠিকভাবে করার পাশাপাশি কি তুমি রাতের খাবারটাও নিয়মিত করছ? হাতের লেখা অনুশীলন হয়তো করছ, কিন্তু তুমি কি নিয়মিত শরীরচর্চা করছ? এসবই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রয়োজনীয় কাজগুলো নিয়মিত যেন করতে পারো সে জন্য একটি রুটিন তৈরি করো এবং তা মেনে চলো প্রতিদিন। বছরের শুরুতেই রুটিনটি তৈরি করে নেওয়া ভালো। তবে এটিকে অজুহাত হিসেবে নিও না। বছরের যেকোনো সময়ই তুমি রুটিন তৈরি ও অনুসরণ করতে পারো।
ক্লাসনোট নাও
ক্লাসে যা পড়ানো হয় তার সবকিছু পরে আমাদের মনে থাকে না। এ জন্য ক্লাসনোট নেওয়া খুবই ভালো অভ্যাস। পরে যখন একা একা পড়তে বসবে তখন ক্লাসনোট অনেক কিছু সহজে বুঝতে সাহায্য করবে।
পড়তে হবে নিয়মিত
অনেক শিক্ষার্থীই সারা বছর না পড়ে পরীক্ষার আগে পড়াশোনা শুরু করে। এতে একদিকে যেমন পরীক্ষার আগে মনের ওপর চাপ পড়ে তেমনি পরীক্ষার ফলও ভালো হয় না। কিন্তু সারা বছর নিয়মিত পড়লে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যায়।
পড়ার জায়গাটি গোছাও
তোমার পড়ার জায়গাটি কেমন তার ওপর নির্ভর করছে তোমার পড়া কতটুকু ফলপ্রসূ হবে। একটি অগোছালো পড়ার টেবিলে কখনই পড়তে মন বসবে না তোমার। তাই তোমার স্থানটি এমন জায়গায় হতে হবে যেন কোনোভাবেই তোমার মনোযোগ বিঘিœত হতে না পারে। আর পড়ার স্থানটি এবং পড়ার টেবিলটি অবশ্যই গুছিয়ে রাখবে।
পড়ুয়াদের সঙ্গে সখ্য গড়ো
একা চলার থেকে দলবদ্ধভাবে কোনো কাজ করলে সেটি যেমন আনন্দময় হয়ে ওঠে, তেমনি লক্ষ থেকে বিচ্যুত হওয়ারও ভয় থাকে না। তাই যদি ছাত্রজীবনে সবক্ষেত্রে ভালো করতে তোমার মতো পড়াশোনাসহ সববিষয়ে ভালো করতে চায় এমন ছাত্রদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলো। ভালো হয় এমন একটি দল তৈরি করতে পারলে।
প্রশ্ন করো
অনেকেই প্রশ্ন করতে ভয় পায়, তা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষককেই হোক বা অন্য কোথাও। শিক্ষাজীবন হলো শেখার। তোমার কৌতূহলকে আটকে রাখবে না। প্রশ্ন করে জেনে নাও, নিজের কৌতূহল মেটাও। তবে প্রশ্ন করার জন্য প্রশ্ন করো না। প্রশ্ন অর্থবোধক হতে হবে। কারণ একটি অর্থপূর্ণ প্রশ্ন উত্তরের অর্ধেক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।