বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তিগত নানা কারণে ডিভাইসে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেকোনো সময় হারিয়ে যেতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে ডাটা ব্যাকআপ একটি ভালো বিকল্প। এক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা সাধারণত ব্যাকআপ অ্যাপ্লিকেশন বা বিভিন্ন ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করে থাকেন। গুগলও বিনামূল্যে স্মার্টফোনের ডাটা ব্যাকআপ অ্যাপ চালুর পরিকল্পনা করছে। অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে আরো কিছু ডাটা ব্যাকআপ অ্যাপ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। এ তালিকায় রয়েছে—
অ্যামাজন ফটোজ: ছবি ব্যাকআপ রাখার জন্য অ্যামাজন ফটোজ নির্ভরযোগ্য। অ্যামাজনের প্রাইম ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে এখানে যেকোনো রেজল্যুশনের ছবি সংরক্ষণ করতে পারেন। ভিডিও ফাইল ব্যাকআপ করার জন্য অতিরিক্ত ৫ গিগাবাইট (জিবি) স্টোরেজও রয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে রাখলে ওয়াইফাই ব্যবহার করে অ্যামাজন ফটোজ নিজে থেকে ফটো ব্যাকআপ করে ফেলতে পারে।
অটোসিঙ্ক: এটি মূলত মেটাকন্ট্রোলের ব্যাকআপ সিরিজের অ্যাপ। এতে ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভ, ওয়ানড্রাইভ, বক্স ও মেগার মতো ক্লাউড স্টোরেজ পাওয়া যায়। এর প্রতিটি ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয় ডাটা ব্যাকআপের সুবিধা দেয়। এমনকি স্টোরেজগুলোয় কোনো ফাইল আপলোড করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিভাইসে ডাউনলোড করে দেবে। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীরা কোন ফাইল কখন ব্যাকআপ করতে চান, তাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
জি-ক্লাউড: ডিভাইসের লেখা মেসেজ, কন্টাক্ট, ছবি, ভিডিও, গান, ডকুমেন্ট, কল লগস প্রভৃতি ব্যাকআপ রাখার জন্য জি-ক্লাউড অত্যন্ত কার্যকর অ্যাপ। কিছু ক্ষেত্রে এটি ডিভাইসের সেটিংসও ব্যাকআপ রাখার সুবিধা দেয়। এটি ১ জিবি পর্যন্ত ফ্রি স্টোরেজ দিয়ে থাকে। ৩ ডলার ৯৯ সেন্টের বিনিময়ে আনলিমিটেড স্টোরেজ ব্যবহারের সুবিধাও রয়েছে। নামের শুরুতে জি থাকলেও জি-ক্লাউড গুগলের কোনো অ্যাপ নয়।
পি-ক্লাউড: ডাটা ব্যাকআপের পাশাপাশি পি-ক্লাউডে আলাদা ফিচার আছে। এতে ১০ জিবি ফ্রি স্টোরেজকে ১০ টেরাবাইট (টিবি) পর্যন্ত বাড়ানো যায়। ব্যবহারকারীরা স্বয়ংক্রিয় এবং এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপের সুবিধাও পাবেন এতে। অ্যাপটিতে বিল্ট-ইন অডিও ও ভিডিও প্লেয়ার রয়েছে।
পালস এসএমএস: পালস এসএমএস নিরবচ্ছিন্নভাবে সব ধরনের টেক্সট মেসেজ ব্যাকআপ করতে পারে। ব্যবহারকারী অন্য ডিভাইসে লগ-ইন করলে সহজেই ব্যাকআপকৃত মেসেজ বা কথোপকথন রিস্টোর করতে পারে। এর ইউআইও দেখতে বেশ সুন্দর। ব্যবহারকারী একে নিজের পছন্দমতো সাজিয়েও নিতে পারবেন।
রেজিলিও সিঙ্ক: প্রাইভেসি নিয়ে সচেতন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি ডাটা ব্যাকআপের ভালো বিকল্প হতে পারে। কেননা রেজিলিও সিঙ্ক রিমোট সার্ভারের পরিবর্তে ব্যবহারকারীর ডিভাইসেই ডাটা ব্যাকআপ করে। শুরুর দিকে ডিভাইসের সঙ্গে সিঙ্ক করতে ডাটা ব্যাকআপে কিছুটা সময় নেয়। কিন্তু এর বাইরে এটি অন্য ব্যাকআপ অ্যাপের মতোই সুবিধা দেয়।
সলিড এক্সপ্লোরার: একই সঙ্গে ফাইল ব্রাউজার এবং ব্যাকআপ অ্যাপ হিসেবে কাজ করতে পারে সলিড এক্সপ্লোরার। বিভিন্ন ক্লাউড স্টোরেজের সঙ্গে এতে মাইক্রোএসডি কার্ডও কাজ করে। অর্থাৎ অ্যাপটি দিয়ে কোনো ক্লাউড স্টোরেজ বা এসডি কার্ডে ডাটা ব্যাকআপ করা যায়।
সুইফট ব্যাকআপ: ব্যাকআপ অ্যাপের তালিকায় নতুন হলেও সুইফট ব্যাকআপ ব্যবহারকারীদের নতুন নতুন নানা সুবিধা দিচ্ছে। এটি রুটেট এবং নন-রুটেড উভয় ডিভাইসের জন্য কাজ করতে পারে। নন-রুটেড ডিভাইসে এটি অ্যাপস, এসএমএস, কল-লগস এবং ওয়ালপেপারসহ নানা তথ্য ব্যাকআপ করে রাখতে পারে।
ম্যানুয়াল ব্যাকআপ: এসব অ্যাপের বাইরে চাইলে একজন ব্যবহারকারী তার তথ্য কোনো কম্পিউটারেও ব্যাকআপ করতে পারে। যেমন কোনো ব্যবহারকারী স্মার্টফোন পরিবর্তন করতে চাইলে এসডি কার্ড বা কেবলের মাধ্যমে সহজেই তার তথ্য কম্পিউটারে সরিয়ে নিতে পারেন।
ক্লাউড সার্ভিস: এসব উপায়ের বাইরে ব্যবহারকারীরা ক্লাউড পরিষেবা ব্যবহার করে ডাটা ব্যাকআপ করতে পারবেন। গুগল ক্রোম বা ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের হিস্ট্রি, বুকমার্ক, লগইন ইনফরমেশন প্রভৃতি ব্যাক করে থাকে। পডকাস্টে তথ্য ব্যাকআপ করতে পারে পকেট ক্যাটস। ড্রপবক্স, গুগল ফটোজ, ওয়ানড্রাইভের মতো অ্যাপগুলো ছবি ব্যাকআপের জন্য আদর্শ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।