জুমবাংলা ডেস্ক : গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ইসলামি জলসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সাঘাটা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ছয়জনকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘুড়িদহ ইউনিয়নের সরদারপাড়া এলাকায় একটি ইসলামি জলসার আয়োজন করে বিএনপি। যেখানে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে প্রধান অতিথি হিসেবে রাখা হয়। এ অনুষ্ঠানটি আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে জামায়াত সমর্থিত আব্দুল আজিজ একই এলাকায় আরেকটি ইসলামি জলসার আয়োজন করেন ২৬ ডিসেম্বর। ওই জলসাতেও নাহিদুজ্জামান নিশাদকে প্রধান অতিথি করা হলেও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নাম সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। এ ঘটনায় দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
প্রথমে শুক্রবার দুইপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে সাঘাটা বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বিএনপির সদস্যসচিব ও ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ তুলিপ, সাঘাটা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকিরুল ইসলাম এবং ঘুড়িদহ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব আনিসুর রহমানসহ ছয়জন আহত হন।
অন্যদিকে, জামায়াতের পক্ষের সাতজন আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে জামায়াতের আব্দুল হান্নান ও জাহিদুল ইসলামসহ চারজনকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে এবং বিএনপির জাকিরুল ইসলামকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে সাঘাটা উপজেলা সদস্যসচিব সেলিম আহমেদ তুলিপ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
তবে, জামায়াতের কোনো নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম বলেন, দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।