জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় ১০ টাকায় ব্যাগভর্তি আম পাওয়া যাচ্ছে। ঝড়ো হাওয়ায় শুক্রবার রাতে এসব আম ঝরে পড়ায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার (২১ মে) উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশন বাজার, আম বাজার এলাকায় ২ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি করছেন পাইকাররা। এছাড়া একটু ভালো মানের আম ৭ থেকে ১০ টাকা কেজিতে ভর্তি হচ্ছে।
গোমস্তাপুর উপজেলার গণমাধ্যমকর্মী এমরান বাবু জানান, শুক্রবার (২০ মে) রাত থেকে গোমস্তাপুর উপজেলার প্রায় সব জায়গায় ঝড়ো হওয়া শুরু হয়। ভোররাতে ভারি বৃষ্টিপাত হয়। ফলে বাগানের গাছে থাকা অনেক আম ঝরে পড়ে যায়। ঝরে পড়া আমগুলো বাজারে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
রেলস্টেশন বাজারে আম বিক্রি করছিলেন শাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাতে ঝড় ও ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে বাগানের অনেক আম পড়ে গেছে। এসব আম ২ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অনেকে আচারের জন্য এসব ব্যাগ ভরে কিনে নিচ্ছেন।
তবে ভালো মানের ফজলি আশ্বিনা আর ক্ষিরসাপাত আমগুলো ৭ থেকে ১০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন মাজহারুল। তিনি বলেন, ভালো আমগুলো টক সস তৈরিতে কাজে লাগছে। এখানে বিক্রির পর অবশিষ্ট আমগুলো ঢাকাসহ বিভিন্ন কারখানায় চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, হালকা দাগি, আমের গায়ে আচড় লাগা আমগুলো প্রায় ২ থেকে ৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ২ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি আম কিনলেই নিমেষেই ব্যাগ ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। ভালোমানের আমগুলো একটু বেশি দরেই বিক্রি হচ্ছে।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকতা তানভির আহমেদ সরকার জানান, গোমস্তাপুরে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টি হয়েছে। উপজেলায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ মৌসুমে গোমস্তাপুর উপজেলায় ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৫টি আমগাছে ফলন হয়েছে। উপজেলায় সবজাতের আমের মধ্যে আশ্বিনা আমের চাষ বেশি হচ্ছে। এখানে ১ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে ৯২ হাজার ২৫০টি আম গাছে আমের ফলন হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।