লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিমান হচ্ছে অল্প সময়ে দেশের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ,আরামদায়ক এবং নিরাপদ বাহন। নাগরিক জীবনের শতব্যস্ততার মাঝে সময়কে আরো পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে অনেকেই বাস ট্রেনের বিকল্প হিসাবে বিমানকে যাতায়াতের মাধ্যম হিসাবে বেছে নিচ্ছেন। ফলে দেশের আভ্যন্তরীন রুটে বিমান ভ্রমনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস,ইউ এস বাংলা এয়ারলাইনস, নভোএয়ার ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ফ্লাইট পরিচালনা করছে।বিমানের টিকেটের মূল্য অবস্থাভেদে পরিবর্তিত হয়ে থাকে।মূলত চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে বিমান টিকেটের দাম উঠানামা করে থাকে। তবে শুধু যে চাহিদাই এখানে একমাত্র ব্যাপার সেটি নয়। আরো বিভিন্ন কারণেই বিমান টিকেটের মূল্য কমবেশি হতে পারে।
নতুন যারা বিমান ভ্রমণ করে থাকেন তারা সঠিক তথ্য না জানায় অনেক সময়েই বেশি ভাড়া দিয়ে টিকেট কেটে ফেলেন।এ পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন তুলনামূলক কম খরচে বিমান টিকেট কেনার কিছু কৌশল।
১. বন্ধের দিনগুলো এড়িয়ে কার্যদিবসে ভ্রমণ করুন। ছুটির দিনগুলোতে যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। ফলে টিকিটের দামও থাকে বাড়তি। বৃহস্পতি, শুক্র, শনি ও রবিবার এড়িয়ে ভ্রমণ করার চেষ্টা করুন। সাধারণত মঙ্গলবার এবং বুধবারের বিমান টিকেট সবথেকে কমে পাওয়া যায়। কারণ এই দিনগুলোতে সারা বিশ্বেই ভ্রমণের পরিমাণ কমে যায়।
২. ভ্রমণের তারিখ ঠিক করার চেষ্টা করুন আগেভাগে। তারিখ ঠিক করে ফেলার পরই বিমানের টিকিট কিনে ফেলুন। যাত্রার যত আগে টিকিট কিনতে পারবেন, ততই সাশ্রয়ের সুযোগ পাবেন।
৩. যে এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করতে চাইছেন, তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়মিত নজর রাখুন। অনেক সময় বিশেষ ছাড় পাওয়া যেতে পারে।
৪. থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন টিকিট। এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট থেকে সেরা অফার তারা আপনার জন্য নির্বাচনের সুযোগ করে দেবে। আবার প্রায়ই নানা ধরনের অফার দেয় এসব প্রতিষ্ঠান। কম দামে বিমানের টিকিট কেনার এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফেলতে পারেন।
৫. ভোরের ফ্লাইট নির্বাচন করুন ভ্রমণের জন্য। খুব সকাল বা ভোরের ফ্লাইট মোটামুটি কম দামেই পাবেন। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে টিকিটের চাহিদা বাড়তে থাকে। ফলে দাম বেড়ে যায়।
৬. অনেক সময় কোনও গন্তব্যের জন্য সরাসরি ফ্লাইটগুলোর খরচ বেশি হয়ে থাকে। এসব ক্ষেত্রে কানেক্টিং ফ্লাইট বেছে নিন। কানেক্টিং ফ্লাইটে অনেক সময় সময় বেশি লাগলেও টিকেটের মূল্য অনেকটাই কমে আসতে পারে।
৭. বড় বড় এয়ারপোর্ট এবং জনপ্রিয় গন্তব্যের ফ্লাইটগুলোর খরচ সবসময় বেশি। যদি কম জনপ্রিয় কোনও এয়ারপোর্ট আপনার গন্তব্যের কাছাকাছি হয়ে থাকে, তবে সেই এয়ারপোর্টের জন্য ফ্লাইট বুক করুন।
৮. ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারেন। তাদের নানা ধরনের ভ্রমণ প্যাকেজ থাকে। বিমান ভাড়াসহ ভ্রমণের সব খরচ প্যাকেজ খরচের মধ্যেই থাকে।
৯. এয়ার ট্যাক্স, ব্যাগেজ ফি, সিট সিলেকশন, ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স চার্জ ইত্যাদি হিডেন চার্জ আছে কিনা টিকিট কেনার সময় সেদিকে খেয়াল রাখুন। যত কম ব্যাগেজ নিয়ে ভ্রমণ করবেন, ততই সুবিধা।
১০. বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রায় সময়ই নানা ধরনের ছাড় থাকে। কাজে লাগাতে পারেন এই সুযোগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।