বিনোদন ডেস্ক : করোনার সময়ে দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ৬৫-তে নেমে এসেছিল। করোনা-পরবর্তী সময়ে সরকারের সহযোগিতার ফলে এই মুহূর্তে ২১৪টি সিনেমা হল চালু আছে। এক বছরের মধ্যে আরও ১০০ হল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানালেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, প্রযোজক সমিতি ও পরিচালক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি জানান, সারাদেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ১৪০০।
শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন এই বৈঠকে বলেন, দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা এত কমে গিয়েছিল যে, তাঁরা শংকিত হয়ে পড়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও তথ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় সিনেমা হলের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং মানুষ আবার হলমুখী হচ্ছে। বাণিজ্যিক ছবিতে অনুদান দেওয়ার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এই উত্তরণে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। চলচ্চিত্র
প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, বাণিজ্যিক সিনেমা দেশের চলচ্চিত্রের প্রাণ। অনুদানের পরিমাণ আরও বাড়ালে সিনেমাজগতের উন্নতি হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে সিনেমাশিল্পের জন্মের পর থেকেই সেন্সর বোর্ড ছিল, সেন্সর বোর্ড থাকতে হবে। বোর্ড যাতে অহেতুক কোনো কিছু না করে সেটি অবশ্যই নজরে রাখা হয়। কোনো সিনেমা কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে সেন্সর বোর্ড প্রশ্ন রাখবেই।
চিত্রগ্রাহক সংস্থার সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, মহাসচিব আসাদুজ্জামান মজনু, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ শহীদুল্লাহ দুলাল, এডিটরস গিল্ড সভাপতি আবু মুসা দেবু, পরিচালক সমিতির সহসভাপতি ছটকু আহমেদ, উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা, সাংস্কৃতিক সচিব শাহীন কবির টুটুল, শিল্পী সমিতির সহসভাপতি রিয়াজ, চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার, সংগীতা, অপু বিশ্বাস, কেয়া, অভিনেত্রী জেসমিন মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



