আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০০৭ সালে ১০০ ভারতীয় রুপি কোনো বড় অঙ্কের অর্থ নয়। ঘুষ হিসেবে ওই টাকা নিতান্তই নগণ্য। আর ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে ১০০ রুপিতে কী বা হয়—এমনই মন্তব্য করে ঘুষ নেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা খারিজ করে দিলেন ভারতের বম্বে হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল রেখে অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি জিতেন্দ্র জৈনের একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মামলা হয়েছে।
বস্তুত যে অভিযোগ নিয়ে এই মামলা, সেটি ২০০৭ সালের। এলটি পিঙ্গালে নামের এক ব্যক্তি ভারতের পুণের একটি সরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার অনিল শিন্ডের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মহারাষ্ট্র পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা তদন্ত শুরু করে।
এরপর ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে একটি বিশেষ আদালত ওই মেডিক্যাল অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা মামলা খারিজ করে দেন। কিন্তু অভিযোগকারী আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাইকোর্টে মামলা করেন। কিন্তু উচ্চ আদালতও এই মামলার গুরুত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘১০০ রুপি ঘুষ নেওয়ার যে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে, সেটি ২০০৭ সালের। ওই অর্থের মূল্য ২০০৭ সালেও খুব কমই ছিল। ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে যখন এই মামলার শুনানি হচ্ছে, তখন তো ১০০ রুপির মূল্য আরো কমে গেছে।’
আদালত এ-ও জানান, যেসব প্রমাণ রয়েছে, তা দিয়ে অভিযুক্তকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না। তাই আদালত তাকে এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস করছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।