জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামসুল ওয়াদুদ বলেন, ‘এবার জেলা থেকে ১০০ টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য শুরু থেকেই আমরা কিছু বাগান নির্ধারণ করেছি। এসব বাগান থেকেই আম রপ্তানি করা হবে।’
চলতি বছর নওগাঁ থেকে ১০০ টন আম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ। আম্র্রপালি, বারি ফোর, ব্যানানা ম্যাংগো, গৌড়মতিসহ বিভিন্ন জাতের আম ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১২ দশমিক ৫০ টন। সে হিসাবে এ বছর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৫ টন।
এর মধ্যে বিদেশে আম রপ্তানির জন্য কয়েকজন আম চাষিকে প্রশিক্ষণ ও নিরাপদ আম প্রস্তুতের পরামর্শ দেয়া হয়েছে কৃষি বিভাগ থেকে। তাদের বাগান থেকেই আম ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, দুবাই, কাতার, সুইডেন ও ওমানে রপ্তানি করা হবে।
সাপাহার বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের উদ্যোক্তা ও আম চাষি সোহেল রানা এ বছর ৭০ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছেন। আম্র্রপালি, বারি-৪, গৌড়মতি, ব্যানানা ম্যাংগো, কাটিমন, ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলি, মিয়াজিকিসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের আম আছে তার বাগানে। এ বছর আম্র্রপালি, বারি-৪, গৌড়মতি, ব্যানানা ম্যাংগো ও কাটিমন জাতের আম রপ্তানির আশা করছেন তিনি।
সোহেল বলেন, ‘গত বছর তার এই বাগান থেকে ৮ টন আম ইংল্যান্ড ও কাতারে রপ্তানি করেছি। লাভও হয়েছিল অনেক। এ বছর জার্মানি, ফিনল্যান্ড, দুবাই, ইংল্যান্ড, কাতার, সুইডেন ও ওমানে আম রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে।
‘কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আধুনিক ফ্রুট্স ব্যাগিং ও নিরাপদ আম উৎপাদন করা হয়েছে। এ বছর প্রায় ৫০ টন আম রপ্তানি করতে পারব আশা করছি।’
একই উপজেলার আরেক আম চাষি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবার ৩০ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছেন তিনি। ঝড়ে কিছুটা ক্ষতি হলেও আশা করছেন বিদেশ আম রপ্তানি করে লাভবান হবেন। ইংল্যান্ড ও জার্মানিতে আম রপ্তানির পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামসুল ওয়াদুদ বলেন, ‘এবার জেলা থেকে ১০০ টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর জন্য শুরু থেকেই আমরা কিছু বাগান নির্ধারণ করেছি। এসব বাগান মালিকদের ফ্রুট ব্যাগিং, ফেরমেন ট্যাপ ও নিরাপদ আম প্রস্তুতের জন্য প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এসব বাগান থেকেই আম রপ্তানির আশা রয়েছে।’
জেলা প্রশাসন ২৫ মে থেকে জেলায় গুটি জাতের আম পাড়ার সময় বেঁধে দেয়। ২৫ মে থেকে আম পাড়া শুরু হয়। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে পাড়া যাবে আশ্বিনা, বারী-৪ ও গৌড়মতি জাতের আম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।