আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নায়াগ্রা জলপ্রপাতের নীচে থাকা একটি শতাব্দী প্রাচীন সুড়ঙ্গ আবারও খুলে দেওয়া হল জনসাধারণের জন্য। পর্যটকদের ‘ঐতিহাসিক’ ওই সুড়ঙ্গ দেখানোর জন্যে এমনই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নায়াগ্রা জলপ্রপাতের নীচে থাকা এই সুড়ঙ্গটি ৮ মিটার লম্বা, ৬ মিটার চওড়া। সুড়ঙ্গটিতে প্রবেশ করতে হবে কানাডার দিকে জলপ্রপাতের যে অংশটি, তার কাছ দিয়ে। সুড়ঙ্গটি প্রায় ২২০০ ফুট (০.৬৭ কিলোমিটার) দীর্ঘ। একটি কাচের লিফটে করে পর্যটকদের ওই সুড়ঙ্গের মুখ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। তার পরে অন্য একটি লিফটে করে সুড়ঙ্গের ১৮০ ফুট ভিতরে নিয়ে যাওয়া হলে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌছবেন তারা।
এই সুড়ঙ্গটি আসলে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রেরই অংশ। ১৯০৫ সালে জলপ্রপাতের কাছে জলশক্তি উৎপাদনের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কানাডা সরকার। কয়েক হাজার কর্মী প্রায় চার বছর ধরে কাজ করে সেটির নির্মাণকাজ শেষ করেন।
সুড়ঙ্গের শেষে পৌঁছলে আধ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ পথটি হেঁটেই পার হতে হবে পর্যটকদের। তবে মাঝেমধ্যেই বসার জন্য বেঞ্চ থাকবে। সুড়ঙ্গের একদম শেষ প্রান্তে পৌঁছলে, নায়াগ্রা জলপ্রপাত খুবই কাছ থেকে দেখতে পাবেন পর্যটকেরা।
কানাডা সরকারের নায়াগ্রা বিষয়ক সংস্থা ‘নায়াগ্রা পার্কস কমিশন’-এর ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গের শেষে ২০ মিটার দীর্ঘ একটি প্ল্যাটফর্ম বানানো হয়েছে, যাতে পর্যটকেরা সেখানে দাঁড়িয়ে জলপ্রপাতের দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। একটি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-র আয়োজনও করা হয়েছে যেখানে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইতিহাসের ব্যপারে জানতে পারবেন পর্যটকেরা। রাতের বেলাও সুড়ঙ্গ থেকে নায়াগ্রার শোভা দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।