জুমবাংলা ডেস্ক: ‘১০০০ টাকা মূল্যমানের লাল নোট লেনদেনের সময়সীমা এই মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। এরপরে এই নোট আর চলবে না’—এ ধরনের একটি গুজব ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এ ধরনের খবর প্রচার করেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে এটি ভুয়া।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফেসবুকে যেটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এটির কোনও ভিত্তি নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের কোনও নির্দেশনা জারি করেনি। তিনি সাধারণ মানুষকে এ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছে গণমাধ্যমে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১০০০ টাকা মূল্যমানের লাল নোট আগামী ৩০ মে ২০২২ তারিখের পর অচল হিসেবে গণ্য হবে মর্মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্মে গুজব/বিভ্রান্তিকর যে তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জনসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১০০০ টাকা মূল্যমানের লাল নোট বা অন্য কোনো নোট অচল ঘোষণা করা হয়নি। জনসাধারণকে এ ধরনের গুজব/বিভ্রান্তিকর তথ্য আমলে না নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
যা লেখা আছে ওই ভুয়া নির্দেশনায়
জামালপুরের কৃষি ব্যাংকের নামে ফেসবুকে ঘুরছে একটি ভুয়া নির্দেশনা। বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ শিরোনামে সেই নির্দেশনায় বলা আছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশক্রমে এক হাজার টাকা মূল্যমানের লাল নোট লেনদেনের সর্বশেষ সময়সীমা ৩০ মে ২০২২। এরপর আর কোনও এক হাজার টাকা মূল্যমানের লাল ব্যাংকে জমা নেওয়া হবে না। সুতরাং ৩০ মে তারিখ দুপুর ১২টার মধ্যে এক হাজার টাকা মূল্যমানের লাল নোট ব্যাংকে জমাদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
সেই নির্দেশনা আরও বলা আছে, ‘পরবর্তী দিন হতে এক হাজার টাকা মূল্যমানের লাল নোট অচল বলে গণ্য হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।