জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইটালি প্রবাসীর ১০হাজার ইউরো চুরি করেছে বিমানবন্দরে লাগেজ হ্যান্ডলিং ও চেকিংয়ে নিয়োজিত কর্মীরা। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী হাসান আলী সিদ্দিক অভিযোগ করার ১০ দিন পরও টাকা উদ্ধার তো দূরের কথা কোন পদক্ষেপই নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগী হাসান আলী সিদ্দিক ইটালীর পাসপোর্টধারীও।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রাসেল তালুকদার নামের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী হাসান আলী সিদ্দিক, ইটালীর পাসপোর্ট নং-YB6095891 গত ২ আগষ্ট তিনি ইটালী থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন। এরপর তিনি ওই দিনই সকাল ৯টা ১০ মিনিটে চিকিৎসার জন্য বিমান বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং-BG363 এ যাওয়ার জন্য তার শ্যালক মেহেদী হাসান ( এয়ারপোর্ট হেল্প লাইন এ কর্মরত স্টাফ) ও শান্তা ইসলাম টার্মিনাল -০২ এর ০৬ নং গেইট দিয়ে প্রবেশ করেন। এরপর রো-ডি তে ডিপারচার ফ্লাইট চেকিং এ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেকিং শেষে আমরা ৩ নং ইমিগ্রেশন এর উদ্দেসে লাইনে দাড়ান। লাইনে দাঁড়ানোর প্রায় ৫ মিনিট পর বিমান স্টাফ তাদের বলেন নিরাপত্তা চেকিং অপারেটর ডাকছেন। সেই সময় তিনি তার শ্যালিকা শান্তা ইসলাম এয়ারপোর্ট নিরাপত্তা চেকিং (দ্বিতীয় চেকিং) এ যান। এ সময় রো-ডি তে কর্তব্যরত এয়ারপোর্ট নিরাপত্তা চেকিং(দ্বিতীয় চেকিং) এ নিরাপত্তা অপারেটর খোকন তার শ্যালিকা শান্তা ইসলাম কে জানান আমার ব্যাগে বেশ কিছু টাকা রয়েছে। পরবর্তীতে নিরাপত্তা অপারেটরদের সামনে তার শ্যালিকা শান্তা ইসলামসহ শ্যালক মেহেদী হাসান এর উপস্থিতে সেই ইউরো গুলো ব্যাগ থেকে বের করে তার গুনে দেখে যার পরিমাণ ১০ হাজার ইউরো । তখন শ্যালিকা শান্তা ইসলাম তাদের বলে এই টাকা গুলো আলাদা ভাবে আমি হ্যান্ড কেরী করে নিব? কিন্তু নিরাপত্তা অপারেটরগণ শান্তা ইসলাম কে বলেন এই ব্যাগে থাকলেও কোন সমস্যা নেই তারপর টাকা গুলো পূর্বের চেকিং ব্যাগে আবার রেখে দেয় এবং তাদের ব্যাগ বুঝে দিয়ে চলে আসে।
ভুক্তভোগী হাসান আলী সিদ্দিক বলেন, ‘আমি চেন্নাই পৌঁছালে টাকা বের করার জন্য ব্যাগ খুলে দেখি আমার ১০ হাজার ইউরো নেই যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা যা আমি আমার চিকিৎসার জন্য এনেছিলাম, পুরো টাকাটাই নাই’।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সব ঘটনা তাদের সামনেই ঘটেছে। যে ব্যক্তি দ্বায়িত্বে রয়েছে তার নাম উল্লেখ করাও হয়েছে। অথচ তারা এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ফোন দিলেও ধরেনা। আমাদের দেশের বিমানবন্দরের যদি এই অবস্থা হয় তবে আমরা প্রবাসীরা তারা তাদের টাকা পয়সা নিয়ে কেমনে আসবে। এত পরিশ্রম করে ইনকাম করা টাকা যদি এরা এভাবে চুরি করে তাহলে আমাদের শ্রমের মূল্য কোথায় থাকলো।
এদিকে বিমানবন্দরে লাগেজ কেটে মালামাল লুট করার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। বিমানবন্দরে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে সম্প্রতি বডি অর্ন ক্যামেরা চালু করার কথা বলা হলেও সেটা কাগজে কলমে।
প্রবাসীদের কস্টার্জিত মালামাল লুট বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।