১০জি গতির ইন্টারনেট নিয়ে হাজির হচ্ছে চীন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফোর জি ফাইভ জি টা টা গুড বাই বলবেন না কি ছুড়ে ফেলে দিবেন এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ চলে এসেছে ১০জি। চীন ইতিমধ্যে শুরু করেছে এই রকেট গতির পরীক্ষামূলক সেব। ফলে এখন থেকে ইন্টারনেট ছুটবে রকেটের গতিতে! এর মধ্য দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বড় চমকের পর ইন্টারনেট প্রযুক্তি বিশ্বেও নতুন বিপ্লব ঘটাল চীন।

ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই নেটওয়ার্কে ফাইল আপলোডের গতি প্রায় ১,০০৮ এমবিপিএস এবং এর ‘নেটওয়ার্ক ল্যাটেন্সি’ নেমে এসেছে মাত্র ৩ মিলিসেকেন্ডে। এই অভাবনীয় গতির ফলে চোখের পলকেই বড় আকারের ফাইল ডাউনলোড করা সম্ভব হবে।

যেখানে ১ জিবিপিএস সংযোগে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের সিনেমা (প্রায় ২০ জিবি) ডাউনলোড করতে সাধারণত ৭-১০ মিনিট সময় লাগে, সেখানে নতুন এই ১০জি ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একই সিনেমা ২০ সেকেন্ডের চেয়েও কম সময়ে ডাউনলোড করা যাবে বলে দাবি করা হয়েছে।

প্রযুক্তি জগতে এক অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেছে দেশটি। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তারা চালু করল অত্যাধুনিক ১০জি নেটওয়ার্ক। চীনের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা হুয়াওয়ে এবং চায়না ইউনিকম যৌথভাবে এই পরিষেবাটি চালু করেছে। প্রাথমিকভাবে, হেবেই প্রদেশের সুনান কাউন্টিতে দ্রুততম ১০জি নেটওয়ার্কের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এখানে ১০জি মানে হলো ১০ গিগাবিট। এর অর্থ হচ্ছে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ১০ গিগাবিট ডেটা আদান-প্রদান করা সম্ভব। এই দ্রুতগতির নেটওয়ার্কটির গতিবেগ পরিমাপ করা হয়েছে ৯,৮৩৪ এমবিপিএস।

জানা গেছে, এই উচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবাটি উন্নত ৫০জি প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক এমন একটি প্রযুক্তি, যা বর্তমান ফাইবার অপটিক অবকাঠামোর তুলনায় অনেক দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করতে সক্ষম।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অবিশ্বাস্য দ্রুত গতির নেটওয়ার্ক উচ্চ রেজোলিউশনের ভিডিও স্ট্রিমিং, উন্নত ক্লাউড কম্পিউটিং এবং ইমার্সিভ ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটির মতো উচ্চ ব্যান্ডউইথের অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন