খেলাধুলা ডেস্ক : হিসেবটা সোজা ছিল। বাজে ফর্মে থাকা সেভিয়াকে হারাও, আর নিজেদের লা লিগার নিয়তিটা নিজেদের হাতে নিয়ে এসো। বার্সেলোনা সে হিসেবটাই মেলাল ‘স্বভাবসুলভ’ ৪ গোল করে। একটু কষ্ট হয়েছে, দ্বিতীয়ার্ধে ফেরমিন লোপেজের লাল কার্ডে ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছিল। তবে শেষমেশ বার্সা রামন সানচেজ-পিজুয়ান ছেড়েছে ৪-১ গোলের দারুণ এক জয় নিয়ে। তাতেই দুই মাদ্রিদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে কোচ হানসি ফ্লিকের দল।
বার্সেলোনা আধিপত্য দেখিয়েছে শুরু থেকে। তরুণ উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল দারুণ এক বাঁকানো শটে সেভিয়ার গোলরক্ষক ওরিয়ান নিয়ালান্ডকে পরীক্ষায় ফেলেন। সেই কর্নার থেকেই আসে বার্সার প্রথম গোল। ছোট করে নেওয়া কর্নার থেকে রাফিনহার ক্রসটি ইনিগো মার্তিনেজ মাথা ছুঁইয়ে লেভানডোভস্কির সামনে ফেলেন, আর পোলিশ তারকা সেটি ফিনিশ করেন সহজেই। লিগে এটি ছিল তার ১৯তম গোল, যা তাকে শীর্ষ গোলদাতার দৌড়ে এগিয়ে দিল আরও একটু।
তবে বার্সা লিড ধরে রাখতে পারেনি। এক মিনিট পরেই রোনাল্ড আরাউহোর ভুলে সেভিয়া সমতা ফেরায়। আরাউহো সাউল নিগুয়েজকে অফসাইড ফাঁদে ফেলতে ব্যর্থ হলে তিনি ক্রস বাড়ান, আর সেখানে রুবেন ভার্গাস বল জালে পাঠান।
আরাউহোর রাত আরও হতাশার হয়ে ওঠে, যখন ২২ মিনিটে সাউলের ট্যাকলে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। তার জায়গায় তরুণ ডিফেন্ডার পাও কুবারসিকে নামায় বার্সা। প্রথমার্ধে বার্সেলোনার গোলরক্ষক ভয়চেখ শেজনি দোদি লুকেবাকিওর দারুণ এক শট ফিরিয়ে দলকে রক্ষা করেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ওই ১-১ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সা গতি বাড়ায়। বিরতির পর গাভির জায়গায় নামা লোপেজ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। পেদ্রির নিখুঁত এক লব পাস থেকে দুর্দান্ত এক হেডে গোল করেন এই মিডফিল্ডার। সেভিয়া সমতা ফেরানোর চেষ্টা করলেও ভার্গাসের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। এরপর ৫৫ মিনিটে রাফিনিয়া দূরপাল্লার শটে গোল করে বার্সেলোনার লিড দ্বিগুণ করেন।
তবে ৬০ মিনিটে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায় বার্সার জন্য, যখন লোপেজের উঁচু ট্যাকল জিব্রিল সাওকে আঘাত করলে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন তিনি। ফলে ম্যাচের শেষার্ধে ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় বার্সাকে।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে ডাকটিকিট অবমুক্ত
সেভিয়া এরপর সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। শেজনি সুসোর শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন, তবে আন্দালুসিয়ান ক্লাব আর কোনো উল্লেখযোগ্য আক্রমণ করতে পারেনি। উল্টো ম্যাচের শেষদিকে বার্সা আরও একটি গোল পায়। রাফিনহার ক্রস ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে এরিক গার্সিয়ার সামনে পড়ে, আর তিনি সেটি হেড করে জালে পাঠিয়ে ৪-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন।
এই জয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে বার্সেলোনা নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকোর হোঁচটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে শিরোপা দৌড়ে প্রবলভাবে টিকে থাকল কাতালানরা। বার্সেলোনার পয়েন্ট এখন ৪৮, দুইয়ে থাকা আতলেতিকোর ঝুলিতে আছে ৪৯ পয়েন্ট, আর রিয়াল শীর্ষে থাকল ৫০ পয়েন্ট নিয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।