জুমবাংলা ডেস্ক : সমুদ্র সৈকত থেকে সংগ্রহ করা প্লাস্টিক দিয়ে, বিশালাকৃতির এক দানব স্থাপন করা হয়েছে কক্সবাজারে। ৬২ ফুট উচ্চতার দেশের সর্ববৃহৎ এই ‘রোবট দানব’ তৈরিতে লেগেছে, ১০ টন প্লাস্টিক। মূলত প্লাস্টিক দূষণরোধে মানুষকে সচেতন করতেই, নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ।
সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে আছে প্লাস্টিকের তৈরি প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতার বিশালাকার দানব। যেন বলছে, ধীরে ধীরে প্লাস্টিক গ্রাস করে নেবে পুরো পৃথিবী। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে সংগ্রহ করা প্লাস্টিক দিয়ে এই দানব নির্মাণ করেছে জেলা প্রশাসন এবং বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। মানুষকে প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতন করতেই বানানো হয়েছে দৈত্যাকার এই ভাস্কর্য। যা দেখে প্লাস্টিকের দূষণ সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছেন সৈকতে ঘুরতে আসা মানুষজন।
স্থানীয় একজন বলেন, পরিবেশ কিভাবে দূষিত হচ্ছে এবং কিভাবে দানব সৃষ্টি হচ্ছে এটা যেভাবে দেখানো হয়েছে, এটি আকর্ষণীয় এবং মন কাড়বে। আরেকজন বলেন, কক্সবাজার দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, এর রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের একান্ত দায়িত্ব। আরেজন বলেন, এরকম শুধু এখানে না সারাদেশেই করা উচিত।
গেল নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১৫ টন প্লাস্টিক সংগ্রহ করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। চার মাস ব্যাপী এ কর্মসূচিতে ৫ লাখ কেজি প্লাস্টিক রিসাইকেল করার কথা রয়েছে। তারা বলছে, এতে সরকারের প্লাস্টিক রিসাইকেলে খরচ কমার পাশাপাশি বাড়বে জনসচেতনতা।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, বার্তা দিতে চাচ্ছি যে, বার্ষিক কি পরিমাণ ভয়াবহ প্লাস্টিক ধীরে ধীরে মানবজাতিকে গ্রাস করছে। এরফলে সরকারের প্লাস্টিক বর্জ মেনেজমেন্টের যে ব্যাপক খরচ হয় সে খরচ কিছুটা হলেও কমবে। পাশাপাশি মানুষও জানবে কিভাবে বর্জকে সম্পদে রূপান্তর করা যায়। জেলা প্রশাসন বলছে, প্লাস্টিক দূষণরোধে ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, চারমাস পর যখন প্রদর্শনীটি শেষ হবে, তখন আমরা এটিকে যথাযথভাবে রিসাইকেল করার জন্য প্রেরণ করব। মূল উদ্দেশ্য সচেতনতা, ব্যক্তি পর্যায়ে এর সচেতনতা তৈরি হলেই কেবলমাত্র আমরা প্রকৃতভাবে প্লাস্টিককে নিরসন করতে পারব। এর ভয়াবহতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারব।
প্লাস্টিকের তৈরি দানবের পাশে বসানো হয়েছে স্টল। যেখানে প্লাস্টিক জমা দিলেই দেয়া হচ্ছে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।