আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের এক ক্রিপ্টো ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার বছরেরও বেশি কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। অর্থ পাচার, জালিয়াতি এবং অপরাধী সংগঠন তৈরির অপরাধে তাঁকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
থোডেক্স নামে ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন প্রতিষ্ঠান গঠন করেছিলেন ফারুক ফাতিহ ওজার (২৯)। তিনি তাঁর দুই ভাই সেরাপ ও গুভেন আলবেনিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার তুরস্কের একটি আদালত ফাতিহ ও তাঁর দুই ভাইয়ের প্রত্যেককে ১১ হাজার ১৯৬ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আদালতের কাছে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অর্থ পাচার, জালিয়াতি এবং অপরাধী সংগঠন তৈরির অপরাধে থোডেক্সের প্রতিষ্ঠাতার ৪০ হাজার ৫৬২ বছর কারাদণ্ড আবেদন করেছিলেন। তবে আদালত কৌঁসুলির সেই আবেদন না রেখে তিন ভাইকেই ১১ হাজার ১৯৬ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
তবে ফাতিহ ওজার তাঁর বিরুদ্ধে আনা অপরাধী সংগঠন তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি আদালতকে বলেছেন, ‘আমি যদি কোনো অপরাধী সংগঠন প্রতিষ্ঠান করতে পারতাম, তবে নিশ্চয়ই এত কাঁচা কাজ করতাম না।’
সাধারণত আগে তুরস্কের গুরুতর অপরাধে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো। কিন্তু ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার চেষ্টায় দেশটি মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেয়। এর পর থেকেই দেশটিতে বিশাল বিশাল কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ফাতিহ ওজার ২০২১ সালের এপ্রিলে গ্রাহকদের ২০০ কোটি ডলারসহ দুই ভাইকে নিয়ে আলবেনিয়ায় পালিয়ে যান। তবে অর্থের সঠিক পরিমাণ কত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, ফাতিহ আলবেনিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ কোটি ডলার সরিয়ে নিয়েছিলেন তাঁর তিনটি গোপন অ্যাকাউন্টে। তবে এর অধিকাংশ অর্থই জমা করা হয় মাল্টার একটি ব্যাংকে।
উল্লেখ্য, ইন্টারপোলের সহায়তায় গত বছর আলবেনিয়া থেকে ফাতিহ ওজারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।