জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনীর পরশুরামে বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষক মেজবাহর লাশ গত ১৪ দিনেও ফেরত দেয়নি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। লাশ ফিরে পেতে সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরেও লাশ না পেয়ে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
এদিকে, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, এখন পর্যন্ত লাশ হস্তান্তরের কোনো চিঠি পাননি তারা।
মেজবাহর বোন পারুল আক্তার বলেন, মেজবাহর চার কন্যাসন্তান পিতার লাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তারা চায় বাবার লাশ দেশে এনে কবরস্থ করার।
মেজবাহর স্ত্রী মরিয়ম আক্তার বলেন, আমার স্বামী সাধারণ কৃষক। তিনি কোনো অন্যায় কাজ বা অবৈধ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তার নিরপরাধ স্বামীকে বিএসএফ হত্যা করেছে তা কিছুতেই মেনে নেওয়ার মতো নয়।
পরশুরাম থানার ওসি (তদন্ত) পার্থ প্রতিম দেব বলেন, গত ১৬ নভেম্বর (বুধবার) রাত ৩টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের সমাঝোতা বৈঠকের পর ভারতের সীমারেখার মধ্যে থাকা লাশটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলে বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত ফেরত দেয়নি।
ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম জানান, বিএসএফের সঙ্গে লাশ হস্তান্তরের ব্যাপারে যোগাযোগ ও পতাকা বৈঠকে লাশ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো ফেরত দেয়নি। তবে ভারতের সব আইনি পদক্ষেপ শেষে হয়তো লাশ ফেরত দেবে।
গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে পরশুরামের বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান কৃষক মেজবাহ উদ্দিন। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। এর তিনদিন পর ভারত সীমান্তের একশ গজের মধ্যে কাঁটাতারের পাশে তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।