স্পোর্টস ডেস্ক : একটি ম্যাচে হয়েছিল ১৪৯টি গোল। যার সব ক’টিই ছিল আত্মঘাতী। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও ঘটনাটি সত্য। এই গোলের রেকর্ডটি ওয়ার্ল্ড গিনেস রেকর্ড বুকেও স্থান করে নেয়। ঘটনাটি ঘটে আজ থেকে বাইশ বছর আগে মাদাগাস্কারের জাতীয় লিগে। দেশের ফুটবল সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এমনই কাণ্ড করেছিল স্তাদ অলিম্পিক দ্য লেমির্নি (এসওই) দল। এএস আদেমার বিরুদ্ধে ম্যাচে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল তারা। তবে এর নেপথ্যে রয়েছে লম্বা ইতিহাস।
২০০২ সালের লিগে হওয়া এই ম্যাচের গোলসংখ্যা এখনও পর্যন্ত বিশ্বরেকর্ড। কোনও দল তা ভাঙতে পারেনি বা ভাঙার ‘সাহস’ দেখায়নি। তবে এসওই-র এই ম্যাচটি শুধু একটি ফুটবল ম্যাচ ছিল না, ছিল একটি প্রতিবাদ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া
প্রতিপক্ষ আদেমার সঙ্গে লিগের লড়াই চলছিল এসওই-র। আদেমার বিরুদ্ধে নামার ঠিক আগের ম্যাচে রেফারির একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তে তারা ট্রফির লড়াই থেকে ছিটকে যায়। চেষ্টা করেও সেই ফলাফল বদলাতে পারেনি তারা। তাই আদেমার বিরুদ্ধে গুরুত্বহীন ম্যাচে অন্য ভাবে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নেয় ফুটবলাররা। খেলা শুরুর বাঁশি বাজানো থেকে শেষ বাঁশি বাজানো পর্যন্ত এসওই ফুটবলারদের পায়েই ছিল বল। বাঁশি বাজলেই নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে খেলতে আত্মঘাতী গোল করছিল তারা।
আদেমার ফুটবলার এবং সমর্থকেরা অবাক হয়ে এই দৃশ্য দেখেছিলেন। একবারের জন্যও আদেমার ফুটবলারদের বল পায়ে ছুঁতে হয়নি। ম্যাচ শেষে দেখা যায় এসওই ফুটবলারেরা ১৪৯টি আত্মঘাতী গোল করে। ম্যাচ শেষে ট্রফি আদেমা জিতলেও, প্রতিবাদ ছিল ফলাফলের ঊর্ধ্বে।
তাই বলে মাদাগাস্কার ফুটবল সংস্থাও চুপ থাকেনি। তারা এসওই-র কোচকে চার বছরের জন্য ও এসওই-র চার ফুটবলারকে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত করা হয়। অখেলোয়াড়োচিত মনোভাবের জন্য সমালোচিত হয়েছিল গোটা এসওই দলই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।