জুমবাংলা ডেস্ক : সদ্য বিদায়ি শেখ হাসিনা সরকার ২০০৮ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছিল। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর পর থেকে এই দিনের সরকারি ছুটি থাকবে, নাকি বাতিল করা হবে, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের প্রজ্ঞাপন তারা প্রস্তুত রেখেছেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে আজ মঙ্গলবারই (১৩ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। কোনো কারণে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামীকাল হবে।
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন।
ওই দিন তিনি ছাড়াও নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। এ ছাড়া তাদের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন।
১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। তখন দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়েছিল।
কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসে ২০০২ সালে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে। ছয় বছর পর হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে ১৫ই অগাস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পুনর্বহাল করে।I
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।