জুমবাংলা ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এক রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলে ঈদে এই ছাগলটি কুরবানি করছেন এমন পোস্টের পর দেশজুড়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। যদিও সাদিক এগ্রো বলছে, ১ লাখ টাকা বায়না করেও শেষপর্যন্ত আর ছাগলটি কেনেননি তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, একজন রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান ইফাত একটি খাসি সামনে দাড়িয়ে ছবি পোস্ট করেন। যার দাম বলা হয় ১৫ লাখ টাকা। স্ট্যাটাস দিয়ে জানান ঈদে এই পশুটি কুরবানি দেবেন।
পরে রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের এই স্ট্যাটাস ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সরকারি কর্মকর্তার ছেলে কিভাবে এত টাকা দিয়ে খাসি কুরবানি দেয় তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে জানা যায় সেই ভাইরাল হওয়া খাসিটি কেনেননি ইফাত। যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে তিনি জানান, সাদিক এগ্রোতে কর্ণধার ইমরানের অনুরোধে ছবি তুলেছেন তিনি খাসিটি কেনার জন্য না।
তিনি বলেন, ‘সাদিক এগ্রোর যিনি মালিক ইমরান ভাই। তার কথা অনুযায়ী আমি ছবি তুলি। পরে সবাইকে বলি খাসিটি কিনেছি। আসলে খাসিটি কেনা হয়নি, সেটা বাসায়ও আনা হয়নি। সেটি কুরবানিও দেয়া হয়নি। উনি আমাকে বলেছে দেখে আমি করতে বাধ্য হয়েছি। বাট তার কারণে আজকে আমাকে এদিন দেখতে হবে তা আমি কোনো দিনও বুঝিনি’
পরে যোগাযোগ করা হলে সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান জানান, খাসিটি ১২ লাখে কেনার জন্য এক লাখ টাকা বায়না করেছিলেন ইফাত। পরে বিষয়টি ভাইরাল হলে আর খাসিটি নেননি তিনি। কুরবানির আগ পর্যন্ত এগ্রো থেকে বার বার যোগাযোগ করা হলেও রেসপন্স করেননি ইফাত।
তিনি বলেন, ‘ইফাত নামের একটি ইয়াং ছেলে ২০ থেকে ২২ বছর হয়তো বয়স হবে। ও আমার কাছে ছাগলটা কিনছে, দামাদামি করছে। আমাকে এক লাখ টাকা বুকিং দিয়ে গেছে। ১২ তারিখে বাকি টাকা দিয়ে ছাগলটা নেয়ার কথা। ১১ তারিখ দিবাগত রাত থেকে আমরা তাকে আর যোগাযোগ করতে পারছি না। ছাগলটা এখনো আমাদের খামারে আছে। সে ছাগলটা ব্যালেন্স টাকা দিয়ে ডেলিভারি নেয় নাই’
এদিকে ইফাতের ফেসবুক ঘেটে দেখা যায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান তার বাবা। যদিও গণমাধ্যমে ইফাত তার ছেলে নয় বলে দাবি করেছেন মতিউর রহমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।