ইংল্যান্ড জাতীয় দল প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল ১৮৭২ সালে। ১৫৩ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছেন কোনো মুসলিম ফুটবলার। অ্যান্ডোরা এবং সার্বিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ সামনে রেখে ঘোষিত দলে ডাক পেয়ে ইতিহাসই গড়ার পথে জেড স্পেন্স।
প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন জেড স্পেন্স। টটেনহ্যামের এই ফুলব্যাক মাঠে নামলেই প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার ইতিহাস গড়বেন।
টটেনহ্যাম হটস্পার্সের ফুলব্যাক জেড স্পেন্স প্রথম প্রকাশ্য মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ডের জার্সিতে মাঠে নামার অপেক্ষায়। জাতীয় দলে ডাক পেয়ে সম্মানিত বোধ করার পাশাপাশি এটা জেনে অবাক হয়েছেন যে, তার আগে কোনো মুসলিম খেলোয়াড়ই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইংল্যান্ডকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাননি।
বাছাই পর্বের ম্যাচ সামনে রেখে কোচ টমাস টুখেলের ঘোষিত স্কোয়াডে প্রথমবারের মতো ডাক পাওয়া দুই খেলোয়াড়ের একজন হলেন ২৫ বছর বয়সী স্পেন্স। এক সময় টটেনহ্যামের একাদশে উপেক্ষিত অবস্থান থেকে জাতীয় দলের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ার পথটা ভেবে বিস্মিত হচ্ছেন তিনি।
ইংল্যান্ড কোচের সঙ্গে আগে কোনো কথা না বলেই দলে ডাক পেয়ে স্পেন্স অবাক হয়েছিলেন। তবে আরও বিস্মিত হয়েছেন যখন শুনলেন তিনি সিনিয়র পুরুষ দলের হয়ে খেলা প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে।
স্পেন্স বলেন, ‘আমি দেখেছি সেটা। এটা আশীর্বাদ, দারুণ অনুভূতি। সত্যিই এমন কিছু পড়েছিলাম। আমি অবাক হয়েছিলাম, সত্যিই প্রথমবার। এটা ভীষণ অসাধারণ। আসলে আমার ভাষা নেই এটা বোঝানোর জন্য।’
স্পেন্সকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল প্রথম মুসলিম খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে গিয়ে চাপ অনুভব করছেন কিনা, তখন এক সময় ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলা এই তারকা জবাব দেন, ‘হয়তো, হয়তো না। আমি আসলে কিছু বিষয়ে তেমন চাপ অনুভব করি না। আমি শুধু হাসিমুখে ফুটবল খেলি, আনন্দ উপভোগ করি, বাকিটা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাবে।’
কেনিয়ান মা ও জ্যামাইকান বাবার সন্তান স্পেন্সের কাছে ধর্মবিশ্বাস পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।