সাইফুল ইসলাম : মানিকগঞ্জ টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে ৭৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এদিন সাতটি উপজেলার মোট ১৫ হাজার ৪৪১ জন শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। প্রথম দিনে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৯৩৬ জন।
এর আগে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজী রাইসা প্রাপ্তিকে টিকা প্রদানের মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। রোববার সকাল ৯টায় পৌরসভার শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন ডা. এ. কে. এম. মোফাখখারুল ইসলাম কাজী রাইসা প্রাপ্তিসহ তিনজন শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করেন। এ সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. ইশিতা ফারহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, টিকাদান কর্মী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের আগে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, “বাচ্চারা টিকা নেওয়ার পর যদি কারও জ্বর আসে, তাহলে বাবা-মাকে জানাবে। আর অভিভাবকরা আমাদের জানাবেন।” তিনি আরও বলেন, “সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জেও টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলো। এ কার্যক্রম সফল করতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন, যেন কেউ গুজবে বিভ্রান্ত না হয়।”
সিভিল সার্জন ডা. মোফাখখারুল ইসলাম ইসলাম জানান, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের এই টিকা দেওয়া হবে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ে এবং ১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এই কর্মসূচি চলবে। তিনি বলেন, “এই কার্যক্রম শেষে ভবিষ্যতে কেবল ৯ মাস বয়সী শিশুরাই এই টিকা পাবে। কাজেই যারা এখন টিকা নেবে না, তারা ভবিষ্যতে বঞ্চিত হবে।”
তিনি আরও জানান, একবার এই টিকা নিলে ৫ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত টাইফয়েড জ্বর থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে। মানিকগঞ্জে মোট ৪ লাখ ৪৯০ জন শিশুকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. ইশিতা ফারহা জানান, মানিকগঞ্জ জেলার এক হাজার ৭০৬টি বিদ্যালয়সহ স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট তিন হাজার ৩০৬টি ইপিআই কেন্দ্রে এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।