ইমরান নাজির : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ১৬ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফরম পূরণ না করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রুহুল আমিন মিঠুর বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ফরম পূরণ না হওয়ায় ডিগ্রি পাস কোর্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে পারেনি ভুক্তভোগী ওই ১৬ শিক্ষার্থী।
অভিযোগে বলা হয়, ডিগ্রি পাস কোর্স তৃতীয় বর্ষের ১৬ জন শিক্ষাথীর কাছ থেকে ফরম পূরণের কথা বলে জন প্রতি ৩ হাজার টাকা করে মোট ৪৮ হাজার টাকা নেয় মিঠু। যথাসময়ে ফরম পূরণ করতে না পারায় গতকাল সোমবার শুরু হওয়া পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি তারা। এতে, শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংস হবার উপক্রম হয়েছে। ভূক্তভোগীরা কলেজ অফিসে যোগাযোগ করে কোন সদুত্তর পাননি। শিক্ষার্থীরা এমন ঘৃনীত কাজের দষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেন।
শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার জানান, আমরা ১৬ শিক্ষার্থী ফরম পূরণের জন্য যাকে টাকা দিয়েছিলাম সে ফরম পূরণ করেনি। সে বিষয়টি যথাসময়ে কলেজ থেকে আমাদের জানানো হয়নি। রবিবার আমরা এডমিট কার্ড আনতে গিয়ে অধ্যক্ষের কাছে জানতে পারি আমাদের এডমিট কার্ড আসেনি। না আসার কারণ জানতে চাইলে অধ্যক্ষ স্যার জানান, আমাদের টাকা নাকি জমা দেয়া হয়নি। কিন্তু, আমরা অনেক অনুরোধ করে জানাই এ বছরই আমাদের শেষ বছর। আমরা ১৬ জন ছাড়া বাকী সবারই ফরম পূরণ হয়েছে। এ বিষয় জানার পরও অধ্যক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করি।
অধ্যক্ষ ড. বাসুদেব কুমার শিকদার জানান, মিঠুর নেয়া টাকা যথাসময়ে জমা না দেয়ায় ফরম পূরণ সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্ট অফিস স্টাফ এ ব্যাপারে মিঠুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মিঠু জানান, শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার ও মিলনকে তিনি চেনেন না। ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষে অনেক শিক্ষার্থী আছে ঐ ১৬ জনই তো আর শিক্ষার্থী না। প্রকৃত সত্য উৎঘাটন করে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানান তিনি।
কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন জানান, ১৬ শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।