স্পোর্টস ডেস্ক : ১৮ বছর আগে সার্জিও রামোসের উত্থানটা সেভিয়াতেই হয়েছিল। রাইটব্যাক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদে একটা সময় খেলা শুরু করেন সেন্টারব্যাক পজিশনে। এরপর তো ইতিহাস। ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী স্প্যানিশ। চলতি দলবদলে পিএসজি ছাড়ার পর এতদিন ক্লাভীন ছিলেন তিনি। সে সময়েই তার দুয়ারে হাজির শৈশবের ক্লাবই।
ইউরোপের দলবদলের জানালা বন্ধ হয়ে গেলেও সার্জিও রামোস এখনও কোনো ক্লাবে যোগ দেননি। যা তার ক্যারিয়ার নিয়েই শঙ্কা জাগিয়েছিল। তবে কি ফুটবল ইতিহাসের সেরাদের একজন রামোসের ক্যারিয়ার এভাবেই শেষ হয়ে যাবে? এমন সময়ে রামোসের হাতে অবশ্য সৌদি ক্লাব আল ইত্তিহাদ ও তুর্কি ক্লাব গ্যালতাসারাই ও বেসিকতাসের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু তিনি ইউরোপের এলিট ক্লাবগুলো থেকেই প্রস্তাবের অপেক্ষায় ছিলেন।
তবে চলতি মৌসুমে ক্লাবহীন থাকতে হচ্ছে না রামোসকে। বরং দারুণ একটা প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। রামোসকে দলে ভেড়াতে চায় গত মৌসুমে ইউরোপা লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সেভিয়া। লা লিগার ক্লাবটির প্রস্তাবে সম্মতও হয়েছেন রামোস। ১৮ বছর পর সাবেক ক্লাবে ফিরছেন এই স্প্যানিশ কিংবদন্তি। দুই মৌসুমের জন্য রামোসকে দলে নিতে চায় তারা। রামোসও শৈশবের ক্লাবে ফিরতে মৌখিকভাবে সম্মতি জানিয়েছেন। এই খবর দিয়েছেন দলবদলের নির্ভরযোগ্য সুত্র ফ্যাব্রিজিও রোমানো।
১৯৯৬ সালে সেভিয়ার একাডেমিতে যোগ দেন রামোস। এরপর যুবদল হয়ে ২০০৪ সালে ক্লাবটির মূল দলের হয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। ক্লাবটির হয়ে ৪৯ ম্যাচ খেলে ২০০৫ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন রামোস।
ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা রিয়ালেই কাটিয়েছেন রামোস। লা লিগার সফলতম ক্লাবটির হয়ে ৬৭১ ম্যাচে ১০১টি গোল ও ৪০টি অ্যাসিস্ট করেছেন। পাঁচবার লা লিগা ও চারবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপার পাশাপাশি জিতেছেন ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপসহ অসংখ্য শিরোপা। স্পেন জাতীয় দলের হয়েও ২০১০ বিশ্বকাপ এবং ২০০৮ ও ২০১২ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের পাশাপাশি নেতৃত্ব দিয়েছেন স্পেন জাতীয় দলকেও। ১৮০ ম্যাচ খেলা রামোস স্পেনের জার্সিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়।
২০২১ সালে রিয়াল ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন রামোস। প্রথম মৌসুমে ইনজুরির কারণে নিয়মিত খেলতে না পারলেও দ্বিতীয় মৌসুমে ভালোই পারফরম্যান্স দেখান। ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন দুটি লিগ ওয়ানের শিরোপাও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।