১ কেজি ইলিশে ৬৫০ টাকা লাভ

Ilish

জুমবাংলা ডেস্ক : কারওয়ান বাজার পাইকারি মাছের আড়ৎ থেকে ১৫৫০ টাকা কেজি দরে ইলিশ কেনেন এক ব্যবসায়ী। কয়েক গজ দূরে নিয়েই খুচরায় সেই মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন ২২০০ টাকা। কেজিতে লাভ ৬৫০ টাকা! ক্রেতা সেজে বিক্রেতাকে হাতেনাতে ধরে ভোক্তা অধিকার। করে জরিমানা!

Ilish

ইলিশের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে দেশের বিভিন্ন ইলিশের বাজার ও আড়তগুলোতে অভিযানে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। রাজধানী কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ি পাইকারি মাছের আড়তে অভিযান চালায় প্রতিষ্ঠানটির দুটি বিশেষ টিম। বাজার অভিযানে এসে ইলিশের বাড়তি দামের প্রমাণ মেলে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।

তিনি বলেন, আড়তদাররা যে দামে ইলিশ বিক্রি করছেন, সেটি যৌক্তিক কিনা তাতে সন্দেহ রয়েছে। বিক্রির পাকা রশিদও দেয়া হচ্ছে না। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন।

যৌক্তিক লাভ করেই ব্যবসায়ীদের ইলিশ বিক্রি করতে হবে জানিয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, সরকার ভারতে ইলিশ মাছ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ খবর জানা মাত্রই মাছ ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে কেজিপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এসব নির্মূল করতে হবে।

অভিযানকালে ক্রেতা সেজে এক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে ধরেন এই কর্মকর্তা। এসময় ওই ব্যবসায়ী তার অপরাধ স্বীকার করে নেন। ফলে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তাকে।তবে ব্যবসায়ীর দাবি, দাম কিছুটা বাড়তি হাঁকা হয়। এরপর দামাদামি করে নির্দিষ্ট একটি দামে মাছ বিক্রি হয়। না হলে লাভ থাকে না।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল জানান, খুচরা ব্যবসায়ীরা ৭০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করছেন! মুনাফার অতি লোভের করুণ চিত্র এখন মাছ বাজারে। সারা দেশে একই অবস্থা। এতে ভোক্তা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে ইলিশ।

অতিরিক্ত মুনাফা করায় এক মাছ ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার। ছবি: বিশ্বজিৎ দাস বিজয়

এদিকে অভিযান শেষে আবার বাড়তি দামেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে, এ বিষয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডলকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের মনমানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। জেল-জরিমানা করে এসব ঠিক করা যাবে না। আমরা অ্যাকশনে যেতে চাই না।

দামের পাশাপাশি ওজনেও কারসাজি করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক অসাধু ব্যবসায়ী দামের পাশাপাশি ওজনে কারসাজি করে ভোক্তা ঠকিয়ে আসছে। এটি বন্ধ করতে হবে। এই কারসাজি বন্ধ না হলে বাধ্য হয়ে জেল-জরিমানা করতে হবে।

এলাকায় ফিরতে টাকা দিতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের

এর আগে বাজার অভিযান পরিচালনা করে কারওয়ান বাজারের ৫ ব্যবসায়ীকে মোট ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার।