জুমবাংলা ডেস্ক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পরীক্ষা দিতে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপে পড়েছিলেন ছাত্রলীগের দুই নেতা। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলাভবনের সামনে তাদের ঘিরে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী তাদের উদ্ধার করে ইবি থানায় হস্তান্তর করেন।
ওই তরুণদের মধ্যে আল আমিন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নাট্য ও বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক এবং শাহিনুর পাশা দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সম্পাদক। তারা দু’জনই আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন শুরু করলে তারা শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া নানা সময়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও অপকর্মেও যুক্ত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, তৃতীয় বর্ষের স্থগিত হওয়া সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে বুধবার সকালে আল আমিন ও শাহিনুর ক্যাম্পাসে আসেন। পরীক্ষার শুরুতেই সহপাঠীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পরীক্ষায় বসেন। এদিকে তাদের ক্যাম্পাসে আসার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর রবীন্দ্র-নজরুল কলাভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে ওই দু’জন ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বিভাগের শিক্ষকরা পরিস্থিতি বুঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা গাড়ির পথ আটকে দেন। এ সময় দুই ছাত্রলীগ নেতা তাদের তোপের মুখে পড়েন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভাগের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী তাদের নিরাপত্তা দিয়ে থানায় সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে আল আমিন ও শাহিনুর বলেন, সেমিস্টার ফাইনালে অংশ নিতে না পারলে খুব ক্ষতি হতো। পরীক্ষার শুরুতেই বন্ধুদের কাছে আগের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। পরীক্ষাও ভালোভাবে হয়েছে। তবে বিভাগের শিক্ষকদের না জানিয়ে আসাটি ভুল হয়েছে। পরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই তাদের থানায় রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। তাদের ওপর যাতে মব জাস্টিস না হয়, সেটাকে গুরুত্ব দিয়েছি।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীর সহায়তায় দু’জনকে নিরাপদে থানায় পৌঁছে দিয়েছেন।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, দুই ছাত্রলীগ নেতাকে তাদের কাছে নিরাপদে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ আছে কিনা, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করছে। যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।