আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রের বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা সোমবার নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটছিলেন। কারণ মধ্য ইউরোপের দেশগুলো দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে।
চেক প্রজাতন্ত্র ও পোল্যান্ডের মধ্যবর্তী সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে সপ্তাহান্তে বন্যা প্রবলভাবে আঘাত হেনেছে। কারণ গত সপ্তাহ থেকে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। পানির স্তর বেড়ে যাওয়ায় কিছু সেতু ভেঙে পড়েছে এবং গাড়ি ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোমানিয়া থেকে পোল্যান্ড পর্যন্ত দেশগুলোতে গত কয়েকদিনে বন্যায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার বিকালে দক্ষিণ পোল্যান্ডের ৪০ হাজার বাসিন্দার শহর নাইসা থেকে দ্রুত বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মেয়র। ওড্রা এবং ওপাভা নদীর সঙ্গমস্থলের তীরবর্তী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চেকের অস্ট্রাভা শহরে বন্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে ওই শহর এবং পাশাপাশি আরও আবাসিক এলাকা থেকে শত শত মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
চেক শহর লিটোভেলের ৭০ শতাংশ এলাকা সোমবার এক মিটার গভীর পানির নিচে রয়েছে।
পোলিশ শহর লাদেকের বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী জের্জি অ্যাডামকজিক রয়টার্সকে বলেন, ‘কেয়ামত… এটি আক্ষরিক অর্থেই সবকিছু উপড়ে ফেলেছে, কারণ আমাদের একটি সেতুও অবশিষ্ট নেই। লাদেকে, সব সেতু অদৃশ্য হয়ে গেছে। আমরা কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি।’
পোল্যান্ডের সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং বলেছে যে তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য ২৬ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক জানিয়েছেন, তিনি অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করছেন এবং তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।